নির্বাচন নিয়ে বাম জোটের ‘গণশুনানি’, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনে দাবি

নির্বাচন নিয়ে বাম জোটের ‘গণশুনানি’, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনে দাবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ আওয়ামী বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। যোগ দিয়েছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শক্তি ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’এ। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও বাম জোটকে দেখা যায়নি। আজ শুক্রবার তাই নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের নিয়ে প্রেসক্লাবে আয়োজন করেছিল গণশুনানি’র। যার মূল বক্তব্য ছিল, “ভোট ডাকাতি, জবর দখল ও অনিয়মের নানা চিত্র”। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয় ‘গণশুনানি’ থেকে।

উক্ত অনুষ্ঠানে জোটের প্রার্থীরা নির্বাচনকালীন এবং পূর্ববর্তী অনিয়মের বিষয়সমূহে আলোকপাত করেন। প্রত্যেক আসনের প্রার্থীরা এক এক করে তাদের অঞ্চলের অনিয়মের কথা জন সাধারণের কাছে তুলে ধরেন। তাদের নির্বাচন পূর্ববর্তী অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হল :

১. প্রার্থীদের প্রচারণায় হামলা, বাধা।

২. পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে ফেলা।

৩. প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রার্থীতা বাতিলের হুমকি।

৪. পুলিশ ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তা।

৫. বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বারণ করা এবং নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য চাপ প্রদর্শন করা।

৬. প্রার্থীদের জীবননাশের হুমকি

নির্বাচন পরবর্তী অনৈতিকতা নিয়ে তাদের অভিযোগ ছিল তুঙ্গে। তাদের দাবি তারা আগে থেকেই জানতো এই নির্বাচন মোটেও সুষ্ঠু হবে না তবে তাদের দাবি, এবার শাসকগোষ্ঠী এবার সকল সীমা লঙ্ঘন করেছে। তাদের নির্বাচনকালীন অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অভিযোগসমূহ হল :

১. সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকা এবং তাদের ভোটারদের ঢুকতে না দেয়া।

২. ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরতি।

৩. ভোট দিতে যাওয়া ভোটারদের শাসকগোষ্ঠীর সমর্থিত মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা।

৪. ভোট কেন্দ্রে গোপন কক্ষ না থাকা এবং সিসি ক্যামেরার ভয় দেখিয়ে সরকার দলের মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা।

৫. প্রত্যেক কেন্দ্র থেকে এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট থাকতে দিলেও ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া।

৬. যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট ছিলো সেই সব কেন্দ্রে তাদের সামনেই ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের অনৈতিক ভোটদান।

গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলো গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্ময়কারী জুনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওর্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাসদের সভাপতি কমরেড খালেকুজ্জামান এবং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ।