ডাকসুর গঠনতন্ত্র নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সাথে আলোচনায় প্রশাসন

ডাকসুর গঠনতন্ত্র নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সাথে আলোচনায় প্রশাসন

ডাকসু নির্বাচনের পূর্বে সভাপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, নতুন পদ সৃষ্টি, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে ক্রীয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসুর) গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শেষে আজ দুপুরে এসব কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

আজ বেলা ১১টায় মতবিনিময় সভাটি শুরু হয়। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টার সভা শেষে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অধ্যাপক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। ডাকসুর গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করতে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ১৩টি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এসময় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক তমা বর্মন, ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দীকী, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব দাস, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি চন্দ্র নাথ পাল ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাহাত,  ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

একটি বিষয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা একমত হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ক্রিয়াশীল ছাত্র সংঠনের প্রতিনিধিরা তাদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দিয়েছে। একটি ক্ষেত্রে সমঝোতায় এসেছে। নির্বাচনে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা প্রার্থীও ভোটার হতে পারবেন। তবে নিয়মিত শিক্ষার্থী বলতে কী বোঝায় এ নিয়ে সংযোজন-বিয়োজন, মতপার্থক্য থাকতে পারে।

বিভিন্ন নতুন পদ সৃষ্টির দাবি উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ছাত্র সংগঠনগুলো ডাকসুর ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও নারী নেতৃত্ব সৃষ্টিতে এ বিষয়ে সম্পাদক পদ তৈরিতে ছাত্র সংগঠনগুলো দাবি জানিয়েছে।”

গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়টি লিখিতভাবে কমিটিকে জানাতে ছাত্র সংগঠনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার মধ্যে লিখিতভাবে ছাত্র সংগঠনগুলোকে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে গঠনতন্ত্রের কী কী সংশোধন দরকার সে সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে পারবো বলে আশা করছি।”

সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন জানিয়ে ছাত্রদল সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা করবে। সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে আমরা নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি।

এদিকে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে কি না, এমন প্রশ্নে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা চাই সব সংগঠন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি তাদের (ছাত্রদল) মতাদর্শ গ্রহণ করে তবে তারা ক্যাম্পাসে আসতে পারবে, কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না।