নির্বাচনের সপ্তাহ না পেরোতেই পাহাড়ে নিহত হল জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা গ্রুপ) কর্মী বসু চাকমা (২৫)। ফের দুর্বৃত্তের মুখোশেই খুন হল এই কর্মী। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলারর বাবুপাড়ায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইতিপূর্বেও দুর্বৃত্তের আড়ালে পাহাড়ে খুন হতে দেখা গেছে।
বসু চাকমা যে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা গ্রুপ) কর্মী তা নিশ্চিত করেছে সংগঠনটির বাঘাইছড়ি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জসি চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএসকে দায়ী করেছে। তবে এ দায় অস্বীকার করেছে জেএসএস।
অন্যদিকে সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা ঘটনার জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় আমাদের নিজস্ব কোন প্রার্থী না থাকায় আমাদের রাজিনৈতিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাবুপাড়া কমিউনিটির সামনে জ্যোতি প্রভা চাকমার ঘরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি একাংশ এমএন লারমা গ্রুপ অর্থাৎ সংষ্কারপন্থির কর্মীরা নিজেদের সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা সভা করছিল। হঠাৎ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ ওই ঘরে হানা দিয়ে অতর্কিতভাবে ব্রাসফায়ার করে সংষ্কারপন্থি কর্মীদের উপর। এসময় আলোচনা সভার অন্যরা পালাতে পারলেও গুলিবিদ্ধ হয় ওই গ্রামের সম্বভু লাল চাকমার ছেলে বসু চাকমা। তার মাথায় ও শরীরে গলি লাগায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু এ আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে লাশের পাশে ১ টি একনালা বন্ধুক, ১টি কার্তুজ (পিস্তল), পিস্তলের গুলি ২ রাউন্ড, খালি খোসা ০৯টি ও বিভিন্ন খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মিডিয়া।
রাঙামাটি বাঘাইছড়ি থানার কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মঞ্জুর এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তের ব্রাশফায়ারে নিহত বসু চাকমার লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।