শপথ না নিয়ে সরকারের বৈধতার বিপক্ষে অবস্থান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতদের

শপথ না নিয়ে সরকারের বৈধতার বিপক্ষে অবস্থান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতদের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ২৮৮ জন এবং ৩ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল আওয়ামী লীগের চতুর্থ শাসনামল। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন বিএনপি’র ৫জন ও গণফোরামের ২ জন সংদস্য শপথ না নিয়ে অটল থাকলেন তাদের অবস্থানে।

‘ভোট কারচুপি’ ও ‘অনিয়ম’র প্রতিবাদস্বরূপ সংদস্য হিসেবে শপথ না নিয়ে তার সরকারের বৈধতা দেয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে আজ শপথ না নিলেও তাদের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তারা শপথ নিতে পারবেন অন্যথায় সংবিধান অনুযায়ী তাদের সদস্যপদ বাতিল করে আসটিকে শূন্য ঘোষণা করা হবে। এতে অবশ্য ঐক্যফ্রন্টের দৃষ্টি নেই। কেননা, নির্বাচনে যে রকম তারা দমনের শিকার হয়েছে। এমনকি ‘ধানের শীষ’এ ভোট দেয়ায় তাদের সমর্থকদের হতে হয়েছে গণধর্ষণ। সেখানে সংসদে যোগ দেয়া ‘অপরাধ’র শামিল।

শপথ নেয়ার পরিবর্তে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা নির্বাচন কমিশন বরাবর নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং পুনঃনির্বাচন আয়োজনের জন্য স্মারকলিপি দেবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেয়ায় সংসদে জাতীয় পার্টির ভূমিকাও অনির্ধারিত রয়ে গেছে। নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। তাদের আসন সংখ্যা ২২। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নিলে তারা একাদশ সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করবেন বলে দশম নির্বাচনের মতই প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, সরকারি-মিত্র জাতীয় পার্টি ২২টি, বিএনপি ৫টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাসদ ৩টি, বিকল্পধারা ২টি, গণফোরাম ২টি, জেপি ১টি এবং তরিকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে। এছাড়া ৩জন স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গাইবান্ধা-৩ আসনের ভোট স্থগিত আর ব্রাহ্মনবাড়িয়া-১ আসনে ফলাফল স্থগিত রয়েছে।