আবারও নির্বাচনের নামে জাতির সাথে প্রহসন করা হল। সিটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবার বহুল আলোচিত জাতীয় নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি নির্বাচনী আসনেই ঘটেছে সিলমারা, ভোট চুরি ও ভোটারদের জোর করে নৌকাতে ভোট প্রদানে বাধ্যকরার মতো ঘটনা। পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় সারা দেশে এমন উলঙ্গ ভোট ডাকাতির পরেও সরকারী মদদপুস্ট মিডিয়াগুলো হাস্যকর ফলাফল জনগণের সামনে প্রচার করেই চলেছে।
ইতিমধ্যে মিডিয়াতে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জনের কথা জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ নির্বাচন প্রমাণ করে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া তাদের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না। বেগম খালেদা জিয়ার সেই সিদ্ধান্তকে যারা এতোদিন সমালোচনা করেছেন তাদের সমালোচনার জবাব এই নির্বাচনের মধ্যমে দেয়া হলো। এবং একই সাথে প্রমাণ হলো, এই সরকারে অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সরা দেশে ভোটারদের জিম্মি করে, রাতেই সিল মেরে ব্যালট পেপার শেষ করে ফেলার করণে এই নির্বাচনে সরকারি জুলুমের চিত্র জনগণের কাছে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। যদিও সরকারী মদদপুষ্ট মিডিয়া নির্বাচনের কল্প-গল্প প্রচার করছে খুব আয়োজন করে।
মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়া খবরে দেখা গেছে নির্বাচনী সন্ত্রাসে এখনও পর্যন্ত ২১ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এমন প্রসহসনের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ঐক্যফ্রন্ট। এ নির্বাচনের ‘কথিত’ ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন দলটি।
নেতারা বলেন, এই নির্বাচনে দেখা গেল মানুষ তাদের পছন্দ মতো, স্বাধীন ভাবে ভোট দিতে পারছে না। এই ভাবে প্রকাশ্যে মানুষের ভোটাধিকার হরণের নিন্দা জানান তারা। নির্বাচন কমিশন গোটা জাতির সামনে যে ভাবে মিথ্যা বলছেন তা নতুন করে আর কাউকে বিস্মিত করছে না। এই জালিয়াতির নির্বাচন বাংলাদেশকে নতুন করে সংকটে ফেললো বলেই মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।