ভোটকেন্দ্রে আসুন, নতুন ইতিহাস আমরা রচনা করবো : জোনায়েদ সাকি

ভোটকেন্দ্রে আসুন, নতুন ইতিহাস আমরা রচনা করবো : জোনায়েদ সাকি

জোনায়েদ সাকি। বাংলাদেশের বাম রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি রাজনেতিক দল ‘গণসংহতি আন্দোলন’র প্রধান সমন্বয়কারী। জাতীয় যে কোন সংকটেই সরব হয়ে ওঠেন তারুণ্যে দীপ্ত এই রাজনীতিবিদ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন জবান’র সাথে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মাশকুর রাতুল।

প্রশ্ন : নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণের সাড়া কেমন ছিলো? জনগণ কি মনে করছে?

জোনায়েদ সাকি:  দেখুন নানান বাধা-বিঘ্নের মধ্যেও আমরা আমাদের সাধ্য মত প্রচার চালানোর চেষ্টা করেছি এবং আমরা মনে করি যে জনগণের মধ্যে বিপুল সাড়া আছে। মানুষ, আমাদের যে এক দীর্ঘ ধারাবাহিক লড়াই সেটাকে তারা বিবেচনায় নিয়েছে বলে আমি মনে করি। তারা (জনগণ) মনে করেন আমাদেরর যে অঙ্গিকার আছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি, মানুষের স্বার্থ নিয়ে লড়াইয়ের প্রতি সেই জায়গাটাতে তারা মূল্য দিয়েছেন। অন্তত তাদের থেকে আমরা সাড়া পেয়েছি যেন আমরা সংসদে যেতে পারি সে ব্যাপারে তাদের ব্যাপক উৎসাহ আছে। তারা বলেছেন যদি ভোট দিতে পারি আমরা অবশ্যই আপনাকে ভোট দেবো।

প্রচারণায় বাধা কিংবা হামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে কেমন?

একেবারে শুরু থেকেই। বাধাতো ধরুণ, এমনিতে তো একটা অসম পরিস্থিতি আছেই। সরকারি দল নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়েছে বছর খানেক আগে থেকে। আর বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলোর দিক থেকে আসলে পুরো ব্যাপারটা ছিল যে, অংশগ্রহণ করা হবে কি হবে না, সমস্তটাই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। আপনারা জানেন যে তফসিল ঘোষণার পরেও আন্দোলনে থাকতে হয়েছে এবং নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি একটি অনিশ্চয়তায় ঝুলে ছিল। ফলে নির্বাচনটা তো অনেক বড় একটা যজ্ঞ, এটাতো আসলে প্রস্তুতি নিতে হয় বহুদিন ধরেই। কিন্তু সেই প্রস্তুতির জায়গাগুলোতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এমনিতেই পিছিয়ে ছিল। কারণ তাদের একদিকে আন্দোলনের মধ্যে থাকতে হচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচনী প্রশ্ন। সামগ্রিক ভাবেই আমাদের প্রস্তুতি কাজটি শুরু হতে অনেক দেরি হয়েছে। আমরা যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নির্বাচনে যাব, তারপর আমাদের দলগুলোর যে মনোনয়ন প্রক্রিয়া, জোটের মধ্যে যে মনোনয়ন প্রক্রিয়া এইগুলো সম্পন্ন করতে হয়েছে। এবং আমরা এইসব বাধা অতিক্রম করে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু হল, প্রথম রাত থেকেই একবারে ১০ তারিখ রাত থেকেই, ১২ টার পর যখন আমরা পোস্টার লাগাতে শুরু করলাম, প্রথম রাত থেকেই আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এরপর ওই রাতেই আবার হামলা হয়েছে। এবং তারপর থেকে লাগাতার ভাবে। পোস্টার লাগাতে যাওয়া মানেই হচ্ছে কোন না কোন হুমকি ধাওয়ার শিকার হওয়া, চড়-থাপ্পড় এবং নানান ভাবে হেনস্তা হওয়া, মারধরের শিকার হওয়া তো আছেই। আমাদের সেই লাগানো পোস্টারগুলো দেখা যাচ্ছে পরের দিন থাকছে না অথবা একদিন পরেই ছিড়ে ফেলা হচ্ছে।

আমরা যেখানেই অফিস নিতে গিয়েছি সেখানেই আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছি এবং আমাদের অফিস ভেঙে দেয়া হয়েছে অথবা অফিস যাদের কাছ থেকে নিয়েছি তাদেরকে হুমকি দিয়ে শেষ পর্যন্ত অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে।

 

এবং আমি বলতে পারি যে আমার ৬০ ভাগ পোস্টার নাই, কোন কোন জায়গা থেকে ৬০-৭০ ভাগ নাই,  কোন কোন জায়গা থেকে ৩০ ভাগ ৪০ ভাগ পোস্টার নাই। এইরকম পরিস্থিতি আজকে এখানে আছে। আমরা অফিস নিতে পারিনি। আমরা যেখানেই অফিস নিতে গিয়েছি সেখানেই আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছি এবং আমাদের অফিস ভেঙে দেয়া হয়েছে অথবা অফিস যাদের কাছ থেকে নিয়েছি তাদেরকে হুমকি দিয়ে শেষ পর্যন্ত অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা দেখবো যে সরকারি দলের প্রার্থীদের অফিসের কিন্তু কোন শেষ নেই। আচরণবিধিতে আছে ওয়ার্ড প্রতি একটি অফিস থাকবে কিন্তু আসলে আমরা দেখলাম যে অফিস গুনে শেষ করা যাবেনা। গলির এক মাথায় একটা অফিস তো আর এক মাথায় আর একটা অফিস। তো এই ভাবে নির্বাচনে তারা অসম জায়গাটা তৈরি করে রেখেছেন এবং এইগুলির পিছনে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে তারও কোন ন্যূনতম নজরদারি নাই বা এর মধ্যে কোন জবাবদিহিতার জায়গা নেই। নির্বাচন কমিশন এইসব বিষয়ে একেবারেই কোন ভূমিকা পালন করেনি। তো নিজেরা অগণিত অফিস করে অন্যদের একটি অফিসও নিতে দিবেন না এরকম একটা অসম পরিস্থিতি তৈরি করে গায়ের জোরে নির্বাচন করে কি তারা কি অর্জন করছে আমরা জানিনা। তবে আমরা এত বাধার মধ্যেও কাজ করার চেষ্টা করেছি, মিছিলে হামলা হয়েছে। ১৩ তারিখে আমরা যখন তেজগাঁও এর ওই দিক মিছিল করতে গিয়েছিলাম, সেখানে লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের মিছিলে হামলা হয়েছে এবং সেটার আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনে। এরপর থেকে যেটা দেখলাম যে আমি যখন মিছিলে থেকেছি সে মিছিলে খুব বেশি হামলা হয়নি কিন্তু এক জায়গায় বাধা পেয়েছি আমি। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যখন প্রচার করতে গিয়েছিলাম সেখানে আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছি। ছাত্রলীগ সেখানে প্রচার করতে দেয়নি। কিন্তু এর বাহিরে আমার মিছিলে আর কোন হামলা আমি দেখিনি। কিন্তু আমাদের কর্মীদের উপর হামলা অব্যহত হয়েছে, প্রত্যেক জায়গা থেকে মাইকে হয় তার কেটে দেয়া হয়েছে, অথবা মেমরি কার্ড ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, মাইক ভাঙচুর করে দেয়া হয়েছে, মাইকের সাথে যিনি ছিলেন তাকে মারধর করা হয়েছে। এই জিনিসগুল ঘটেছে এবং সর্বশেষ যেটা ঘটেছে দু’দিন আগে, আমাদের ছাত্রদের উপর বড় ধরনের হামলা, নির্মম হামলা, সাত জন সেখানে আহত হয়েছেন তার মধ্যে ছয় জন গুরুতর আহত, দুইজন ভীষণভাবে আহত হয়েছেন। তাদের হাত ভেঙে দিয়েছে একজনের হাত পুরো দুই টুকরো হয়েছে। আর একজনের কনুই থেকে হাড়ের অংশ ভেঙে আলাদা হয়ে গিয়েছে এবং বাকি চার জনকে এমন ভাবে মারা হয়েছে এতো রীতিমত নির্মম। তাদের প্রত্যেককে রড দিয়ে মারা হয়েছে, এইযে একটা অত্যাচার দেখছি নেতা-কর্মীদের উপরে এর মধ্যেও কিন্তু আমরা কাজকরার চেষ্টা করেছি। এবং বাধা অতিক্রম করেই আমরা মানুষের মধ্যে পৌছানোর চেষ্টা করেছি এবং আমরা যে আওয়াজ তুলেছি “ভয় মুক্ত বাংলাদেশ” “কার্যকর গণতন্ত্র” এবং “সকলের জন্য উন্নয়ন” আমার মনে হয় আমরা যে তিনটি আসনে গণসংহতি আন্দোলন থেকে আমরা নির্বাচন করছি ঢাকা-১২, পাবনা-১ ও চট্টগ্রাম-১০। তিন জায়গাতেই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি এবং মানুষ এইটাই দরকার  সেটা মানুষ বুঝছে। আজকে বাংলাদেশ যেভাবে ভয়ে আছে এটা থেকে মুক্তি সবাই যে চায় তাদের স্বাধীনতা, তাদের কথা বলার স্বাধীনতা, পছন্দ করার স্বাধীনতা এই জায়গাটা মানুষ খুব গ্রহণ করেছেন এবং এর মধ্যে দিয়ে যতটা পেরেছি আমরা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি।

একজন তার ক্ষমতাকে স্বৈরাচারী করতে চাইছে তার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চাইছে কিন্তু যেটা ঠেকিয়ে দেয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামোটাই এমন যে এখানে ঠেকানোর কোন রাস্তা নাই। যদি কেউ এটাকে জমিদারিত্বে পরিণত করতে চায় তাহলে সে সম্পন্ন জমিদারিত্বে পরিণত করতে পারে। এবং সেটা তখন একটা দৈত্যাকার রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং তার উপর ভর করে পুরো একটা দল তার সম্পন্ন ক্ষমতা কায়েম করতে সক্ষম হয়।

 

নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে এবার সবাই প্রশ্ন তুলেছে, আপনার মতামত কি?

এটা আমাদের আগে থেকেই অনুমান ছিল যে বাংলাদেশের যে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশন যেভাবে গঠিত হয়েছে তারা একটা আই ওয়াশ করার চেষ্টা করেছে যেখানে একটা সার্চ কমিটি করেছি, আমরা বিভিন্ন দলের প্রস্তাব নিয়েছি কিন্তু আসলে তারা তাদের নিজেদের লোকগুলো যেন এই সার্চ কমিটিতে নিজেদের দলের প্রস্তাবেই তারা আসে। শরিক দলগুলোর মাধ্যমে তারা প্রস্তাব দিয়েছেন। দিয়ে নিজেদের লোককে তারা বসিয়েছেন। এখন যার ফলে তারা তাদের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন এবং এটা তো আমরা আগে থেকে বলেছিলাম যে এই নির্বাচন কমিশন এইভাবেই আনুগত্য দেখাবে। এবং সে কারণেই আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ দাবি হচ্ছে এই যে নিয়োগ প্রক্রিয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আপনি সার্চ কমিটির নামে যতভাবেই একটা আয়োজন করেন না কেন এর মাধ্যমে কোন বাস্তব জায়গায় পৌঁছবে না। আমরা মনে করি একটা সাংবিধানিক কমিশন গঠন করা দরকার যে কমিশনে সরকারি দল, বিরোধীদল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এবং তারাই ঠিক করবেন কি হবে এবং রাষ্ট্রপতি সেটাকে অ্যাপ্রুভ করবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে অ্যাপ্রুভালের আগে আসলে মূল কনসেন্সসাস বা ঐক্যমত্যটা আসলে কমিশনে তৈরি হওয়া দরকার। এইটাই তখন যে নির্বাচন কমিশনার যিনি হবেন তখন কোন বিশেষ দলের প্রতি তার আনুগত্য থাকবে না বরং সংবিধানের প্রতি তার আনুগত্য দেখাবেন। তার যে কর্তব্য সে কর্তব্যের প্রতি তিনি আনুগত্য দেখাবেন। এবং এটাই তো আমাদের কাম্য যে তারা তাদের কর্তব্যটা করবেন সকলের জন্য একটা সমান সুযোগের ব্যবস্থা করবেন, মানুষ যাদেরকে পছন্দ করবে তাদেরকে ভোট দিবে। এইটিই গণতন্ত্রের প্রাথমিক জায়গা, এইটুকু জায়গা যেহেতু ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলে সেহেতু তারা এইটুকুই করতে চান না। তারা গণতন্ত্রের একটা লেবাজ রাখতে চান, গণতন্ত্রের নামে একটা নাটক মঞ্চস্থ করতে চান কিন্তু বাস্তবিক গণতন্ত্রের অধিকারটা দিতে চান না। এইটাই বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে দাঁড়িয়েছে যদিও আমরা অতীতেও এই একই ধরনের তৎপরতা দেখেছি। আর এটার কারণ হচ্ছে এটা তো করতে পারেন তারা এটা তো করতে চাইতেই পারেন তারা, মনে করেন আমরা আমাদের ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করবো । কিন্তু সেটা করতে চাইলেই তো করতে পারার কথা না। রাষ্ট্রের ভেতরেই এর প্রতিরোধ থাকা উচিৎ একটা ভারসাম্য থাকা উচিৎ। এমনভাবে যে একজন তার ক্ষমতাকে স্বৈরাচারী করতে চাইছে তার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চাইছে কিন্তু যেটা ঠেকিয়ে দেয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামোটাই এমন যে এখানে ঠেকানোর কোন রাস্তা নাই। যদি কেউ এটাকে জমিদারিত্বে পরিণত করতে চায় তাহলে সে সম্পন্ন জমিদারিত্বে পরিণত করতে পারে। এবং সেটা তখন একটা দৈত্যাকার রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং তার উপর ভর করে পুরো একটা দল তার সম্পন্ন ক্ষমতা কায়েম করতে সক্ষম হয়। আর এইবারে এসে তার সর্বোচ্চ চূড়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। একদম উপর থেকে তল পর্যন্ত একটা রাষ্ট্রকে যেভাবে জুলুম করা হচ্ছে একটা দলের স্বার্থে এটা বাংলাদেশে আর অতীতে কখনো দেখা যায়নি।

এই হামলা, হয়রানির পর ত্রিশ তারিখে যে নির্বাচনটা হবে, এই নির্বাচনটা কেমন হতে পারে বলে আপনার মনে হয়?

না নির্বাচন কেমন হবে সেটা তো আগের থেকেই আওয়াজ পাওয়া যায়, তো ইতিমধ্যেই এমন একটা জায়গা তৈরি হয়েছে যে একটা একতরফা নির্বাচনী পরিবেশ। হামলা, মামলা গ্রেফতার, প্রার্থীরা গুলিবিদ্ধ হওয়া, প্রার্থীদের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যাওয়া এবং অনেক প্রার্থীরা এখন জেলে এবং প্রার্থীরা নামতে পারছে না, কর্মীরা গ্রেফতার হয়ে যাচ্ছে যে কারণে একটা একতরফা জায়গা শতাধিক আসনে তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর অন্যান্য আসনগুলোতেও কিন্তু ভয় ভীতি আতংকের পরিবেশটা কিন্তু আছেই। এই পরিবেশটা যে একেবারে হঠাৎ করে নেমে এসেছে তা না, এই পরিবেশটা কিন্তু ছিল এবং এই পরিবেশটার ভেতরেই আমরা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে এই নির্বাচনের ভেতরেই একটা আন্দোলন আমরা কিভাবে গড়ে তুলতে পারি। অর্থাৎ মানুষের ভোট কেন্দ্রে আসা, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জায়গা কিভাবে করা যায় তাদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে। ফলে পরিস্থিতি প্রতিকূল, পরিস্থিতি ভীষণ রকম… মানে একটা একক দলীয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে কিন্তু এর মধ্যে আমরা মনে করি শেষ পর্যন্ত কিন্তু চাবিকাঠি বা যাদুর কাঠিটা কিন্তু জনগণের হাতে। তারা যদি তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নামেন সেক্ষেত্রে দখলদারদের সমস্ত নীলনকশা আমরা মনে করি বদলে যাবে। এবং তার মাধ্যমে সমস্ত সমীকরণ বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে আমরা জনগণের কাছে আহবান জানাই আপনার ভোট আপনার নাগরিক অধিকার, আপনার ভোট আপনার সম্মান আপনার মর্যাদারও প্রতীক। সুতরাং আপনার সম্মান আর মর্যাদাটা যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে তার জন্য আপনারা সক্রিয় হোন, ভোট কেন্দ্রে আসুন, নিজের ভোট দিন। আপনার যাকে যোগ্য মনে হবে পছন্দ হবে তাকেই ভোট দিন কিন্তু আপনার নিজের ভোটটা আপনি নিজে দিন।  সেটা খুবই জরুরি, সেই জায়গাটা যদি তৈরি না হয় তাহলে এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটাকে আমরা আর ধরে রাখতে পারবো না। তখন প্রবল স্বৈরচারী একটা ব্যবস্থায় পরিণত হবে প্রবল ফ্যাসিবাদী একটা ব্যবস্থায় পরিণত হবে। যেটার মধ্য দিয়ে নাগরিকদের আর কোন অধিকার কার্যকর থাকবে না। এমনকি যিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন তিনি চাইলেও আর এটা থাকবেন না। মানে এটা এমন একটা প্রক্রিয়া যে মানুষের অধিকার হরণের মাধ্যমেই সে টিকে থাকে। এই ভাবেই তারা সমস্ত মানুষকে তারা প্রান্তিকে ঠেলে দিয়ে তারা নিজেরা সমস্ত বাহাদুরির দাপট প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারপরে বোধহয় আমরা আরো বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হব। ফলে আমরা মনে করি যে জনগণই নিয়ন্ত্রা। জনগণকে আমরা আহ্বান জানাই আসুন ভোটকেন্দ্রে আসুন, নতুন ইতিহাস আমরা রচনা করবো।