বেশকিছু দিন আগেই ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছিলো বিএনপির বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তিন মিনিটের একটি ভিডিও। কীভাবে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তার যৌবনে আর কিভাবে এখনো ৭০ বছর বয়সে একই লড়াই চালিয়ে সেই গল্প বলেছিলেন। তরুণদের আহ্বান জানিয়েছিলেন এই ক্রান্তিকালে দেশের হাল ধরতে। ভিডিওটি ভাইরাল হয় খুবই তাড়াতাড়ি। তরুণদের হৃদয়ে জায়গা পায় ভিডিওটি। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, মিডিয়া পাড়া সব খানেই প্রশংসা কুড়ায় তার বক্তব্য। নিরপেক্ষ মহলেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে এই ভিডিওটি। তাদের কাছে ফখরুলের মূল দাবি ছিল গণতন্ত্রের মুক্তি। কোথাও ধানের শীষে ভোট চাননি তিনি। এই কারণেই ফখরুলের এই ভিডিওটি সাড়া ফেলেছিল তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। যদিও সরকারি মহল এবং তাদের সমর্থক মিডিয়া হাউসগুলো থেকে নানা রকমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় স্বয়ং ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চরিত্র নিয়েই! তবুও তা ধোপে টেকেনি।
আজকে দুপুরের পরপর ফখরুল ইসলামের আরো একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হতে দেখা যায়। ভিডিওটিতে তিনি কথা বলছেন এবং তার খয়েরি ব্যাকগ্রাউন্ডে বড় করে লেখা “আমরা সবাই”। ভিডিওটিতে তার বক্তব্য ছিলো একজন বাবা আর তার সন্তানের ভালোবাসা নিয়ে। তিনি বলেন “পৃথিবীর সব সন্তান আমাদের, আমরা যারা বাবা আর মা।” তিনি সন্তানদের জন্য এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখছেন যেখানে সন্তানেরা ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দেবে না, সাদা পোশাকের পুলিশ তাড়া করে ফিরবে না কোন কিশোর-তরুণকে। এমন দেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান তিনি জানিয়েছেন সবাইকে। তিনি দেশ বদলানোর কথা বলতে বলেছেন “একটা দেশ কোন রাজনীতিবিদ বদলায় না, বদলায় তার মানুষ তার সাধারণ জনগণ। তারা কোন ইউনিফর্ম পরে না।” তার ভিডিও বার্তা থেকেই ভোট কেন্দ্রের যাওয়ার স্পষ্ট আহ্বান লক্ষ্য করা যায় যদিও এবারও তিনি নিজের মুখে কোন প্রতীক বা মার্কায় ভোট চাননি। তার কথায় শুধু ভোট কেন্দ্রে জন উপস্থিতির আকাঙ্খারই প্রকাশ হয়েছে।
এদিকে ইতোমধ্যেই প্রায় লাখের কাছে শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি। প্রায় অনেকে ভয় মুক্ত বাংলাদেশের আকাঙ্খায় শেয়ার করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ভিডিওটি। আবেগঘন স্ট্যাটাস আর কমেন্টও দেখা যাচ্ছে ভিডিওটি ঘিরে।