বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় জাতিসংঘ

বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় জাতিসংঘ

অবশেষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললো জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভয়ভীতিহীন ও দমন-পীড়নহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।

আজ বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষে তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও পরে সহিংসতামুক্ত, ভয়ভীতিহীন ও দমন-পীড়নহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হয়। ভোটাধিকার প্রয়োগে সংখ্যালঘু, নারীসহ সব বাংলাদেশি নাগরিক যেন নিরাপদ বোধ করেন এবং আস্থা অনুভব করেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজ ও পর্যবেক্ষকেরা তাদের দায়িত্ব পালনে যাতে পূর্ণ সহায়তা পান।

জাতিসংঘের মহাসচিব শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখারও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর আগে ২১ ডিসেম্বর এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে একটি প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নটি ছিল, “ক্ষমতাসীনদের হাতে বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন। আপনি কি এখনো বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে, যেখানে আইনের বিধিবিধানের কথা বলে বিরোধী প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে?”

এই প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি আগেই আপনাদের বলেছি, আমরা এসব ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা নির্বাচনী সহিংসতা ও বিরোধীদের গ্রেপ্তারের খবরে উদ্বিগ্ন। অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সব পক্ষকে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানাই। এই পরিপ্রেক্ষিতে এটা অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব প্রার্থীর অবাধ ও নির্বিঘ্ন প্রচারের পথ নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে যেন আস্থা বোধ করে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজ ও পর্যবেক্ষকেরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে যাতে পূর্ণ সহায়তা পান।