জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র তিন দিন। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড’র অভাবে যখন আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রার্থীরা ভুগছেন অস্তিত্ব সংকটে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দিলেন ফুরফুরে মেজাজের এক সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আবারও ক্ষমতায় আসছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগই। এমনকি এবারের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন না তিনি। এ বিষয়ে বলেছেন, ‘‘এ বারের নির্বাচনটা আগের মতো অত চ্যালেঞ্জিং নয়। বৈরীতার পরিবেশও নেই। বরং আমাদের স্বপক্ষে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর আগের নির্বাচনগুলোয় একটা বিভেদ লক্ষ করতাম। এ বার কিন্তু একচেটিয়া ভাবে সকলের সমর্থনটা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। সেটা টেরও পাচ্ছি।’’
গতকাল বুধবার ঢাকার ধানমন্ডির সুধাসদনে এই সাক্ষাৎকার দেন শেখ হাসিনা। তিনি পুনরায় জয়ে কারণ হিসেবে শ্রেফ বিরোধীদলের সমালোচনায়ই নিজেকে নিয়োজিত করেন। কিন্তু বিরোধী দলের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি সদুত্তর না দিয়ে উল্টো অভিযোগ করে বসেন। তিনি বলেন, ‘‘নালিশ করার পাশাপাশি বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং মিথ্যা কথা বলতে ওরা ভীষণ পারদর্শী।’’ তিনি বিরোধীদের মধ্যে সংঘাতের কথা বলেন। অথচ স্পষ্টভাবেই প্রচারণার প্রথম দিন থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে আসছে।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের প্রধান অস্ত্রই সামনে নিয়ে আসেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র নাম করে পুনরায় একবার বিরোধীদের কটাক্ষ করেন বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের মন পড়ে আছে পাকিস্তানে,’’ এছাড়াও এদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সতর্ক অবস্থানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে ড. কামাল যেখানে একটি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়ছেন। সেখানে শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অথচ ড. কামাল এক সময় আওয়ামী লীগে ছিলেন। মতাদর্শিক দ্বন্দের কারণে তিনি আওয়ামী লীগ ছাড়তে বাধ্য হন। ড. কামাল সম্পর্কে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, “ওঁর শ্বশুরবাড়ি পাকিস্তানে। ছেলেদের একটু শ্বশুরবাড়ির প্রতি টানটা বেশি থাকে।’’ যা একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উচ্চারণ করাটা নিম্নমানের। এই মন্তব্য আবার এ প্রশ্নও রাখে, যখন কামাল হোসেন আওয়ামী লীগে ছিলেন তখন কি তার শ্বশুরবাড়ি অন্যত্র ছিল কি না?