ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৭ কাশ্মিরি নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে ফোন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসকে ফোন করে কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে বিষয়টি আমলে নেওয়ার আহ্বান করেন। গত রবিবার তিনি কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে সাত বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি জাতিসঙ্ঘে উত্থাপনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপরেই গণমাধ্যমে ইমরান খানের ফোনের বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশে হস্তক্ষেপের পরিবর্তে ইসলামাবাদকে নিজেদের বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া উচিত যেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি রয়েছে।
ইমরান খান সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “ভারতে নির্বাচন আসন্ন। সেখানকার ক্ষমতাসীন দল মুসলিম বিরোধী এবং পাকিস্তান বিরোধী। তারা আমার সমস্ত উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। আশা করি নির্বাচনের পরেই আমরা আবার ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারব।”
ভারত অবশ্য পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়েছে যে সংলাপ ও সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারে না। অন্যদিকে খোদ ভারতের সাবেক প্রধান বিচারপতিই ওই হত্যাকাণ্ডকে ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’ হত্যাকাণ্ডের সাথে তুলনা করেছেন।
উল্লেখ্য, এবার নির্বাচনের ‘সেমিফাইনাল’এ কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। ‘নির্বাচনের পরে’ বলতে ইমরান খান কি তাহলে কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছেন! দেখার বিষয়, কংগ্রেস আসলে আদৌ কাশ্মির ইস্যু নতুন পরিণতির সন্ধান পায় কি না।