আবারও ফুটবল মাঠে বর্ণবাদ!

আবারও ফুটবল মাঠে বর্ণবাদ!

ফুটবল মাঠের ২২ জন ফুটবলার খেললেও পুরোটা সময় জুড়ে মাঠে ও গ্যালারিতে উত্তাপ ছড়ায় মাাঠে উপস্থিত থাকা সমর্থকরা। কখনও গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে নিজ দলের প্লেয়ারদের উৎসাহ যুগিয়ে কখনও বা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটিয়ে। এসবই ফুটবলের অংশ তবে কোনো সমর্থক বা ফুটবলার যদি আক্রমনাত্মক শব্দ ব্যবহার করে কোনো ফুটবলারকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গত সপ্তাহে স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির মধ্যকার ম্যাচে ঠিক এমনি এক ঘটনা ঘটে। চেলসির কয়েকজন সমর্থকের কাছে বর্ণবৈষম্যের শিকার হোন ম্যানচেস্টার সিটি ও ইংল্যান্ডের তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার রহিম স্টারলিং। ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মাথায় কর্নার কিক নিতে গেলে গ্যালারি থেকে কয়েকজন চেলসি সমর্থক চিৎকার করে স্ট্রালিংয়ের গায়ের রং নিয়ে কটুক্তি ও নোংরা আক্রমনাত্মক কথা বলেন।

ম্যাচ চলাকালীন সময় সেটি নিয়ে তেমন কথা নাহলেও ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি সহ প্রিমিয়ার লিগের কর্মকর্তারাও এ বিষয় নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। ম্যানচেস্টার সিটি বস পেপ গার্দিওলা কিছুটা রাগ ঝেড়েই বলেছেন “ফুটবলের সব জায়গায় বর্ণবৈষম্য বিদ্যমান।” চেলসির কোচ সেরির কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটি জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ছিলো। আমি সব সময় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে।” তবে আমার এ ব্যাপারে চুপ থাকা উচিত কারণ এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে চেলসির তারকা ফুটবলার ইডেন হ্যাজার্ডও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমি শুধু বলবো আমি এই প্লেয়ারকে সমর্থন করি। তিনি (স্টারলিং) একজন চমৎকার ফুটবলার। হয়তো খুব শীঘ্রই এ বিষয়ের তদন্ত শেষ হবে। জানি না তদন্তের পর কি হতে পারে তবে সেই সকল ফ্যানরা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। তবে আমি তাদেরকে ফ্যান মনে করি না।” ২০১১ -২০১২ সালের দিকে ফুটবল মাঠে অনেক বর্ণবৈষম্যের ঘটনা দেখা গেলেও ২০১৪-১৭ পর্যন্ত ফুটবল মাঠে বর্ণবৈষম্য ছিলো না বললেই চলে। তাছাড়া সেসময় এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ফিফা ও উয়েফাসহ ফুটবলের সকল সংস্থা নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলো। তবে এ বছরের অক্টোবরে এন্তোনিও রুডিগারের আবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হেন তারপর গত সপ্তাহে রহিম স্টারলিং। এভাবে বর্ণবৈষম্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ফুটবল বিশ্লেষকেরা।