একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনে থেকেই বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা করে আসছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু আজ জাতীয় ঐক্যফন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলা নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তা হল, আসলে আওয়ামী লীগ কি চায়?
এতদিন যে হামলা হয়েছে তাদের সকলে ছিল সংসদ সদস্য প্রার্থী, সে অর্থে ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন না। তাহলে তার গাড়িতে হামলা কেন? তবে কি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য গঠন করাই ড. কামালের পাপ?
বিএনপি ও আওয়ামী বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় সরাসরি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যুক্ত। আজ রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রার্থী আসলামুল হক আসলামের ‘গুণ্ডা বাহিনী’ ছাত্রলীগের ইব্রাহিম, জাকির ও কাউন্সিলর টিপুর লোকজন জড়িত বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে ড. কামাল হোসেন।
ইতোপূর্বে আমরা বিএনপি মহাসচিব, বিএনপির নারী প্রার্থী এবং বাম রাজনীতির প্রার্থীদের উপর লাগামহীন হামলা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু সেক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
পুলিশ যেন এই মুহূর্তে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারে ব্যস্ত তাই জনগণের কিংবা নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেছেন,
কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকে না স্মরণ করিয়ে দিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, যেসব পুলিশ অন্যায়ভাবে প্রার্থী ও তার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে চলেছে, তারা কেন এসব করছে? জেনে রাখো, চিরদিন কেউ ক্ষমতায় থাকে না। আর কোনো সরকারও আইনের উর্ধ্বে না। এই সরকার আর ১৬ দিন ক্ষমতায় আছে। সুতরাং বেআইনি আদেশ মানবে না। জেনে রাখো, একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে তবে নিশ্চিত ভোটের লড়াইয়ে তারা হেরে যাচ্ছে। তাই বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সাথে তাদের ন্যাক্কারজনক আধিপত্য দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে জনমনে। চাইছে যাতে, জনগণ তাদের বাহুশক্তির প্রদর্শণ দেখে ভীত হয়ে ভোটকেন্দ্রে না আসে।