ক্ষমতাসীনদের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছেনা নারী কিংবা বাম রাজনীতির প্রার্থীরাও

ক্ষমতাসীনদের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছেনা নারী কিংবা বাম রাজনীতির প্রার্থীরাও

ডান কি বাম হামলা থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না আওয়ামী লীগের বিরোধী কোন প্রার্থীই। এমনকি নারী প্রার্থীরাও শিকার হচ্ছেন হামলার। প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই হামলার শিকার হয়ে আসছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। কিন্তু কেউ কল্পনা করতে পারেনি ক্ষমতাসীনদের এই হামলা নারী প্রার্থীদের উপরও প্রযোজ্য হবে।

গতকাল বুধবার নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। গতকালই এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনা জানান তিনি। আফরোজা বলেন, “ওদের উদ্দেশ্য ছিল আমাকে মেরে ফেলা একদম। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই আক্রমন চালায়। আমার গায়ে হাত দিয়েছে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আমার ড্রাইভারকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। আমার গাড়ির দরজা ভেঙ্গে ফেলেছে, গাড়ির কোন গ্লাস নেই।”

বাম রাজনীতির যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন তাদের উপরও হামলা বহাল রেখেছে সরকারদলীয়রা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হামলার শিকার হয়েছেন গণতান্ত্রিক বামজোট’র অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি। তিনি ঢাকা-১২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রচারণার সময় তেজগাঁও কলেজের সামনে হামলার শিকার হন তিনি এবং প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী স্থানীয় জনগণ ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। হামলায় আক্রান্তদের ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় জোনায়েদ সাকির (কোদাল মার্কা) প্রচারণা মিছিল তেজগাঁও কলেজের সামনে গেলে একদল মোটর সাইকেল আরোহী লাঠি ও রড নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় একটুর জন্য রক্ষা পান জোনায়েদ সাকি। জানা গিয়েছে প্রশাসনের কাছে ব্যাপারটা জানানোর পরেও কোন রকম পুলিশি সহায়তা পাননি তিনি। উল্লেখ্য বর্তমান সরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকা-১২ আসনে নৌকার প্রার্থী। এতে অনেকেই আশঙ্কা করছেন প্রশাসনের কোন রকম সহায়তা না পাওয়ার। এর আগে জোনায়েদ সাকির প্রচারণার কাজে বাধা দেওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল। তাদের ব্যানার-পোস্টার ছেড়া এবং কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে।

জোনায়েদ সাকির প্রচারণা মিছিলে সন্ত্রাসী হামলা———————————————————————-ইন্দিরা রোডে তেঁজগাও কলেজের পাশের রাস্তায় জোনায়েদ সাকির প্রচারণা মিছিলে পিছন থেকে লাঠি, রড হাতে সন্ত্রাসীদের হামলা। প্রচারণা কর্মীরা ঘুরে দাঁড়ালে হামলাকারীরা পিছু হটে। শেষ মুহুর্তের কিছু ভিডিও ক্লিপ্স ধারণ করে একজন প্রচারকর্মী।

Posted by গণসংহতি আন্দোলন on Thursday, December 13, 2018

হামলার পরপর জোনায়েদ সাকি এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “এই যে পরিবেশ এর মধ্যে কোন নির্বাচনী পরিবেশ নেই। সরকার চাচ্ছে যে বিরোধী আর কোন প্রার্থী মাঠে থাকবে না, তারা সবকিছুর মধ্যে একটা ভয় আতঙ্ক তৈরি করবেন এবং তারপর তারা নিজেরা ফাঁকা মাঠে নিজেদের মত করে কেবল নিজেদের ভোটারদের দিয়ে কিছুটা ভোট নিয়ে তারা তাদের এই নির্বাচনি বৈতরণী পার হবেন।”

তিনি আরও বলেন যে সরকার ৫ জানুয়ারির মতো জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নিয়ে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে।