আবারও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

আবারও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

আবারও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হল ফিলিস্তিনি এক তরুণ। আজ মঙ্গলবার তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলের দাবি সেই তরুণ গাড়ি নিয়ে বেপরোয়াভাবে ইসরায়েলি নিরাপত্তা চৌকি পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল। ঘটনাটি ঘটে ফিলিস্তিনের অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকের একটি গ্রামে যা ইসরাইলি বাহিনী জোরপূর্বক ধকলে রেখেছে।

ফিলিস্তিনির ওই তরুণের পরিচয় প্রকাশ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। তার নাম ওমর হাসান আওয়াদ, বয়স ২৭ বছর এবং নিবাস হেব্রিনের ইদহানা শহরে।

এদিকে ফিলিস্তিনের সাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে চলন্ত গাড়িতে থাকা অবস্থায় তাকে পেছন থকে গুলি করা হয়েছে। নিরাপত্তা চৌকির কাছাকাছি আসতেই তার উপর গুলি বর্ষণ শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।

ওয়াফা সংবাদমাধ্যমের বরাতে আরও জানা যায়, তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিলো এবং সে আহত হওয়ার অনেক পরেই রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে ঢোকার সুযোগ পায়। তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এদিকে ফিলিস্তিন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘মান’ জানায়, নিহত ওই তরুণ গাড়ি চালিয়ে নিরাপত্তা চৌকির কাছাকাছি আসে এবং নিরাপত্তার তল্লাশির জন্য তাকে দাঁড়াতে বলে হলেও সে গাড়ি থামায়নি যার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী বাধ্য হয়েই গুলিবর্ষণ শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি ছেলেটি গাড়ি নিয়ে যাওয়ায় তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পরে এবং তারা গুলিবর্ষণ করে।

একদিন আগেই পশ্চিম তটের রামাল্লায় অস্ত্রধারীর খোঁজে আক্রমণ চালিয়েছে।

কিছু স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে তারা ফিলিস্তিনবাসীদের নিধন করতে ‘শুট টু কিল’নীতি অনুসরণ করছে যা সম্পুর্ণভাবে মানবতাবিরোধী।

২০১৫ সালে ইসরায়েলি পুলিশ তাদের ‘ওপেন ফায়ার’ নীতি সহজ করে এবং সেনাবাহিনীকে সুযোগ করে দেয় যেকোন মুহুর্তে গুলি করার। তারা যুদ্ধনীতি অনুসরণ করেই গুলি ব্যাবহার করছে এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়েই তাদের ফিলিস্তিন নিধন অভিযান চালিয়ে আসছে।