হিযবুল্লাহ টানেল’এ ইসরায়েলের সেনা অভিযান।

হিযবুল্লাহ টানেল’এ ইসরায়েলের সেনা অভিযান।

সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী হিযবুল্লাহর বিরুদ্ধে লেবানন এবং ইসরায়েলের মধ্যে সুরঙ্গ খননের অভিযোগ এনেছে ইসরাইল। এই সুত্র ধরে ইসরায়েল সেখানে সেনা অভিযানও শুরু করেছে। ইসরায়েলের দাবি তারা নিরপেক্ষ ভাবেই এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুখোশ উম্মচন করতেই এই অভিযান পরিচালনা করছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েল টুইটারের মাধ্যমে এই সেনা অভিযানের খবর নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলি সেনা মুখপাত্র লেফট্যানেন্ট কর্নেল জোনাথান কনরিকাস রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন এই সেনা অভিযান শুধু মাত্র ইসরায়েলের অংশেই পরিচালিত হবে। লেবাননের বর্ডারের সীমান্তের ওপারে তারা যাবেন না।

তিনি রয়টার্সকে আরো জানিয়েছেন “হিযবুল্লাহর কার্যক্রম আমাদের কাছে ইসরায়েলের জন্য বড় হুমকি মনে হচ্ছে। তাদের কার্যক্রম অতি অসৎ, ভয়ানক এবং ইসরায়েলের জন্য হুমকি।”

আর একটি টুইট বার্তায় ইসরায়েলের আর একজন মুখপাত্র আভিচে আদ্রি বলেছেন এই সকল সুরঙ্গ তৈরিতে লেবানন সরকারের হাত আছে। তারা এরকম কাজ করে নিজের নাগরিকদেরকেই হুমকির মুখে রেখেছে।

তবে হিযবুল্লাহর কাছ থেকে এই বিষয়ে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে লেবানিজ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম তাইয়া’র তাদের এক প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য দিয়েছে। তারা জানিয়েছে সীমান্তে লেবাননের কাফারকেলা এবং আদাঈষেহ গ্রাম দুটির অপর পাশে ইসরায়েল সেনাদেরকেই সুরঙ্গ খনন করতে দেখা গিয়েছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নাতাশা ঘোনেম জানিয়েছেন ইসরায়েলের এমন অভিযান একটি বিরল ঘটনা। পশ্চিম জেরুজালেম থেকে ঘোনেম আরো জানিয়েছেন “ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে তারা হিযবুল্লাহর খনন করা সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে এবং সেটাকেই ব্যবহার করে তারা লেবানন থেকে আসা হিযবুল্লাহর যেকোন রকমের হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।”

তিনি আরো বলেন “২০০৬ সালে সংগঠিত হওয়া হিযবুল্লাহ বনাম ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় আমরা উত্তরে এমন অভিযান লক্ষ্য করিনি।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গতরাতে হঠাৎই ব্রাসেলে যান যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেইর সাথে সাক্ষাৎ করতে। সেখানে গিয়ে তিনি আজকের অভিযান সম্পর্কে মাইক পম্পেইকে আগে থেকেই অবগত করেন।

ঘোনেম বলেন “এখানে সময়কাল অনেক গুরুত্বপুর্ণ কারণ তিনদিন আগেই ইসরায়েলের পুলিশ সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আরোপ করেছে এবং তার সাজাও হতে পারে।”

তিনি আরো বলেন “যেহেতু নেতানিয়াহু সেদেশের জনপ্রিয় একজন নেতা তাই তার বিরুদ্ধে এরকম আইনি ব্যাবস্থা নেওয়াতেই তিনি এরকমের সেনা অভিযান চালিয়েছেন। তার উপর চলা আইনি কার্যক্রম থেকে সবার নজর সরিয়ে নেওয়াই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হতে পারে।”