প্রশাসনিক কৌশলে বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচনের দিকে হাঁটছে সরকার

প্রশাসনিক কৌশলে বিএনপিকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচনের দিকে হাঁটছে সরকার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র হাতে গোনা ২৭ দিন বাকি। ইতোমধ্যে সব দলই প্রস্তুত নির্বাচনের জন্য। কিন্তু দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে যারা ভোটবিহীন নির্বাচন দিতে এতটুকু কুণ্ঠাবোধ করেনি। তারাই যখন ক্ষমতায় আর তাদের অধিনেই যখন নির্বাচন, তখন সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা একান্তই নির্বুদ্ধিতা। তাইতো প্রশাসনিক কৌশলেই আটকে দেয়ার চেষ্টা চলছে বিরোধীদের।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রকৃত চেহারাতো নিয়মিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বেতারে দেখিয়ে বেড়াচ্ছেই। ‘লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড’ লঙ্ঘনের  প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। আর এখন রিটানিং অফিসারদের সহযোগিতায় ‘প্রশাসনিক কৌশলে’ দমন করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’কে। ইতোমধ্যে তারা বিএনপি’র হেভিওয়েট শতাধিক নেতা-কর্মীর মনোনয়ন বাতিল করেছে । এত ঠুনকো অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘটনা ঘটেছে যে তা থেকে স্পষ্টই ধারণা করা যায়, নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশনায়ই কাজ করছে। আর বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে ফেলে একতরফা নির্বাচনেরই পায়তারা করছে সরকার।

সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া আলোচিত রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে শুধু স্বাক্ষর না থাকার কারণে অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না থাকার পরেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসারত। তার যে টিপসই ব্যবহার করা হয়েছে তা সত্যায়িত নয়। এসকল কারণেই নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

দণ্ডপ্রাপ্তর অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন পত্র অথচ তাদের দলে মনোনয়ন পাওয়া এমন নেতা রয়েছে যার নাম শামীম ওসমান, যার নাম পংকজ দেবনাথ। আদালতকে ব্যবহার করে তাদেরকে বৈধ করা হয়েছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিএনপির নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৬-৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা প্রর্থীতা ফিরে পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু যেহেতু সরকারের কৌশলে বাতিল হচ্ছে মনোয়ন, তাই আপিল করে কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না।