একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে যোগ দিচ্ছে বিএনপি। এরই মধ্যে প্রার্থীও প্রায় ঘোষণা করে ফেলেছে দলটি। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে হাতে হাত রেখে কাজ করছে দলটির নেতা-কর্মীরা। কিন্তু প্রত্যাশিত এবং বিএনপি’র দুঃসময়ের কাণ্ডারী হয়ে থাকে কয়েকজন নেতার মনোনয়ন না পাওয়া কিংবা মনোনয়ন ফর্ম জমা না দেওয়া ভাবাচ্ছে কর্মীদের।
মনোনয়ন কিনেও জমা দেননি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল। আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী-৩ আসনে নিজে এবং ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল চেয়েছিলেন বরিশাল-২ আসন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল কেন মনোনয়ন ফর্ম জমা দেননি, সে বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু হাবিব-উন নবী খান সোহেলের ফর্ম জমা না দেয়ার পেছনে গুঞ্জন উঠেছে দলীয় কোন্দলের। বিএনপি কৌশলগত কারনে ঢাকা-৯ চার জনকে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছেন। মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস ও হাবিবুর রশীদ এর সাথে রয়েছে হাবীব-উন নবী সোহেল এর নাম। মির্জা আব্বাস ওই মনোনয়ন ফর্ম জমা দিতে পারেন নি (!)। কর্মীরা ধারণা করছেন আসনি মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে বেরাদ্দ দেয়া হবে ধারণা করেই হাবীব-উন নবী সোহেল মনোনয়ন জমা দেননি।
অন্যদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফীউল বারী বাবু। এর আগেও জাতীয়তাবাদী দলের এই নেতাকে অবমূল্যায়ণের অভিযোগ করেছিল কর্মীরা। বিভিন্ন সময়ে উপযুক্ত পদ থেকেও বঞ্চিত হয়েছিলেন তিনি। তারপরও জীবেনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার শহরে নেতা-কর্মী নিয়ে জনসংযোগ করেছেন বাবু। তাই তার মনোনয়ন না পাওয়া অনেকটা হতাশাব্যাঞ্জকই হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ঢাকার এই সক্রিয় দুই টগবগে নেতা সোহেল এবং বাবু মনোনয়ন না পাওয়ায় তৃণমূলে এক রকম ক্ষোভেরই সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান থাকলে এমনটা নাও হতে পারতো।