ভারতের আমন্ত্রণে সস্ত্রীক ভারত সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫ জন উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা। আনুষ্ঠানিকভাবে ৭ দিনের সফর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের একটি বিশেষ সজ্জার বিমানে তাদেরকে ভারতে নেয়া হয়। দু’দেশের মধ্যে এরকম সফর ইতিহাসে এই প্রথম।
ঢাকায় অবস্থিত ভারতের হাইকমিশন থেকে বলা হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই সফর একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। দুই দেশের পাস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে এবং দেশ দু’টির প্রতিরক্ষা বাহিনীর আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এমন সফর চলমান থাকবে।
গত ২৬ নভেম্বর এই সফর শুরু হয়। ভারতের বিমান বাহিনীর সুসজ্জিত দু’টি বিমান বাংলাদেশের অতিথিদের পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে ভারত। এবং সামরিক সম্মানের সাথে তাদেরকে ঢাকা থেকে নয়া দিল্লি নেয়া হয়েছে। এই বিমান দু’টি ব্যবহার করেই তাদের আভ্যন্তরীণ সফর করানো হবে। আগামী ২ ডিসেম্বর সফর শেষ হবে বলে জানা গেছে।
“ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ এবং প্রচলিত ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি চিনে ও বুঝে দু’দেশের মানুষের মধ্যে একটি আত্মার সম্পর্ক স্থাপর করা”কে সফরটির মূলে উদ্দেশ্য হিসেবে ধরা হয়েছে।
সফরে সেনাবহিনীর সদস্যরা দিল্লি, আগ্রা, কলকাতা ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম স্থান চুরুলিয়া ভ্রমণ করবেন বলে জানা গেছে। তবে তার ভারতের রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সাথে কোন সাক্ষাৎ কিংবা বৈঠক করবেন কিনা সে সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এই রকমের ভ্রমণের প্রস্তাব করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। জুন মাসে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির পরেই ভারত ভ্রমণ ছিল তার সফর। ঐ সফরে তিনি ভারতীয় সেনাপ্রধান ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পারস্পরিকে ভ্রমণের প্রস্তাব দেন। যার ফলশ্রুতিতে ভারতের এই আমন্ত্রন এবং ভ্রমণ কার্যক্রম।
তবে নির্বাচনের আগে এমন সফরকে রাজনীতি বিশ্লেষকেরা অন্যদৃষ্টিতেই দেখছেন। তারা মনে করছেন, এই সফর নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।