ইয়েমেনে ঘটে যাওয়া যুদ্ধাপরাধ এবং জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মোহাম্মদ বিন সালমান এর উপর তদন্তের দাবি জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। নিউইয়র্কের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার ফেডারাল জাজ লিজো সোমবারে এই বিষয়ে তাদের কাছে অনুরোধ জানায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আমেরিকা শাখার পরিচালক সারাহ লিয়াহ উইটসন জানান, আন্তর্জাতিক অধিকার বিষয়ক গোষ্ঠীগুলোর আর্জেন্টিনা এই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। আর্জেন্টিনার এমন দাবির কারণ রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে হতে যাওয়া জি ২০ সম্মেলনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনায়।
জানা যায়, আর্জেন্টিনার সংবিধান মতে বিশ্বের যে প্রান্তেই কোন রকম যুদ্ধাপরাধ, নিপীড়ন হোক না কেন তাদের রাষ্ট্র তথা সে দেশের বিচার ব্যাবস্থা সেসব অপরাধের বিচার করার আইনত এখতিয়ার রাখে।
হুইটসন জানান “আমরা আর্জেন্টাইন প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছি এবং আমরা আশা করি তারা যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং জামাল খাশোগি হত্যার পূর্ণ তদন্ত করবে।”
তিনি আরো বলেন “আর্জেন্টিনার জন্যে এই তদন্ত একটি অতি শক্ত ভিত্তি যার মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত নথি এবং প্রকৃত ঘটনা জানা যেতে পারে। পুরো পৃথিবীর মানুষ সে সকল মানুষদের কাছ থেকে প্রকৃত জবাবদিহিতা চায় যারা মারাত্মক অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।”
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে ফেডারাল জাজ লিজো বা আর্জেন্টিনার পাবলিক প্রসিকিউটর, কারোর কাছ থেকেই কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গিয়েছে আর্জেন্টিনা সরকার এই রকম একটি মামলার তদন্তভার নিলে সেটা হবে একটি হুমকি স্বরূপ। সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের বিরুদ্ধে যাওয়াটা সেদেশের জন্য ক্ষতিকর বলেই খবর প্রকাশ করছে আর্জেন্টাইন সংবাদ সংস্থাগুলো।
এদিকে গত অক্টোবরের ২ তারিখে ইস্তাম্বুলে অবস্থিত রিয়াদ কনস্যুলেটে খুন হওয়া জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ায় এবং তাতে সৌদি যুবরাজের নাম বার বার আসায় বিশ্বজুড়ে তার নাম একটি ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।