খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম

খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম

গতকাল থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দেয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দীতা করছেন তিনটি আসনে। কিন্তু সে রাস্তাকে হয়তো কঠিন করে ফেলতে চাইছে সরকার! আজ মঙ্গলবার আওয়ামী মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কণ্ঠে তারই ইঙ্গিত মিলল। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তির পরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির পাঁচ নেতা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউলাহ আমান, বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, সাবেক সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মো. মশিউর রহমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওহাব।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, আপিল পেন্ডিং অবস্থায় সাজা স্থগিতের বিধান নেই। ফলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

অ্যাটর্নি জেনারেল যে তার আসনে বসে বিএনপি’র বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করবেন সেটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। তিনি যে লীগেরই একজন সদস্য সেটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল মনোনয়ন ফর্ম কেনার সময়ই। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগের ‘আইনি বেড়াজাল’ থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপি কিভাবে প্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আসে জনগণের সামনে।