ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরে নিহতের ঘটনায় পালিত হচ্ছে বন্ধ। অচল হয়ে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মিরের সকল রেল যোগাযোগসহ সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। জম্মু-কাশ্মিরের যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের আহ্বানে পালিত হচ্ছে সর্বত্মক এই বন্দ। হুররিয়াত কনফারেন্স’র একাংশের প্রধান সাইয়্যেদ আলীশাহ গিলানী, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক ও মুহাম্মাদ ইয়াসীন মালিক এই বন্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের এক মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় গত তিন দিনে ১৮ জন কাশ্মিরি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কাশ্মির
ভারত অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরে নিহতের ঘটনায় পালিত হচ্ছে বন্ধ। অচল হয়ে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মিরের সকল রেল যোগাযোগসহ সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। জম্মু-কাশ্মিরের যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের আহ্বানে পালিত হচ্ছে সর্বত্মক এই বন্দ। হুররিয়াত কনফারেন্স’র একাংশের প্রধান সাইয়্যেদ আলীশাহ গিলানী, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক ও মুহাম্মাদ ইয়াসীন মালিক এই বন্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের এক মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় গত তিন দিনে ১৮ জন কাশ্মিরি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কাশ্মির উপত্যকায় বনধের ডাক দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বন্ধকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরের সমস্ত দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহণ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায় ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মীদের হাজিরায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
এদিকে, কাশ্মিরে গেরিলা ও বেসামরিক মানুষজন নিহত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রতিবাদে গতকাল রিববার সন্ধ্যায় যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদ চত্বরে মোমবাতি জ্বালিয়ে, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডসহ প্রতিবাদ জানানো হয়।
অন্যদিকে, জেকেএলএফের পক্ষ থেকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় মৈসুমার লালচক ও কোকেরবাজারে মোমবাতি ও মশাল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। জেকেএলএফ নেতাদের অভিযোগ, নিরাপত্তা বাহিনী অবাধে হত্যাকাণ্ড ঘটানোয় কাশ্মির কার্যত বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে ৬ কাশ্মিরি নিহত হয়, সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৮ জন।