ইরাকে ভারী বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জন। গত শুক্রবার শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত এখনও পর্যন্ত কমেনি বলে জানা গেছে। নিহতের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। পানিতে ডুবে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বৃষ্টিজনিত এই দুর্যোগে আহত হয়েছে ১৮০ জনেরও বেশি।
সরকার ইতোমধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রনে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে, ইরাকের বিভিন্ন বাহিনী এবং সেচ্ছাসেবক সংগঠন হাশদ আশ শাবিও এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশে রবিবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া না গেলেও আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র দশ কিলোমিটার গভীরে। এবং এর কম্পন এতই শক্তিশালী ছিল যে তা ইরাকের বাগদাদ পর্যন্ত অনুকম্প সৃষ্টি করেছিল। কেরমানশাহ প্রদেশের ‘সারপোলে জাহাব’ শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার পশ্চিমে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভুমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৪ এবং এর পরেও কয়েকবার ভুমিকম্প অনুভূত হয় যার মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৫.২। কেরমানশাহ’র আশেপাশের প্রদেশ ইলাম, পূর্ব আজারবাইজান এবং পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্গত অঞ্চলসমূহে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। এদিকে পুনঃভূমিকম্পের আশঙ্কায় কেরমানশাহ প্রদেশের মানুষ ঘরের বাহিরে রাস্তায় ও পার্কে রাত কাটিয়েছেন। এদিকে প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর জেনারেল জানিয়েছেন শত শত আহত মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত মানুষদের বেশির ভাগই ‘সারপোল জাহাব’ ও ‘গিলানে গার্ব’ শহরের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১২ই নভেম্বর এই একই প্রদেশে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং তাতে ৬১০ জন নিহত এবং ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ভূমিকম্পেও ‘সারপোল জাহাব’ শহরের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানা যায়।