নারী নির্যাতন ও আভ্যন্তরীণ সহিংসতার বিরুদ্ধে ইতালিয়ান লীগে প্রতিবাদ

নারী নির্যাতন ও আভ্যন্তরীণ সহিংসতার বিরুদ্ধে ইতালিয়ান লীগে প্রতিবাদ

গতকাল যারা ইতালিয়ান সিরিআ-এ লিগের ম্যাচ দেখেছেন তাদের অনেকের কাছেই ফুটবল মাঠের খেলার চাইতে মাঠে থাকা কিছু ফুটবলার ও রেফারির গালে থাকা ‘লাল দাগ’টি বেশি নজর কেড়েছে। হঠাৎ করে ফুটবল মাঠে খেলোয়ার কিংবা রেফারির গালের এই লাল চিহ্নের রহস্য কি? এটা অনেকের কৌতূহল তৈরি করেছে। আসলে এটি নারী নির্যাতন ও আভ্যন্তরীণ সহিংসতা রোধের লক্ষ্যে একটি কর্মসূচি ছিল। আর লাল রঙের দাগ গালে বহন করার অর্থ হচ্ছে, যে সকল নারী শারীরিক কিংবা মানুষিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ও নারীর প্রাপ্য অধিকার প্রদানের সমর্থন করছে এবং আভ্যন্তরীণ সহিংসতার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান বুঝানো হয়েছে।

ইতালির নারী অধিকার রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ‘উই ওয়ার্ল্ড নোলুস’ সিরিআ-এ লিগের কর্মকর্তা ও ফুটবলদের সাথে কথা বলে এ সপ্তাহ জুড়ে এই কর্মসূচি গ্রহন করেছেন। ইতোমধ্যে সিরিআ-এ লিগের অনেক তারকা ফুটবলাররা এ ব্যাপারে একাত্মতা প্রকাশ করেছে এবং তাদের গালে লাল দাগ বহন করে মাঠে নেমেছে। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ফুটবলাররা হলে, জুভেন্টাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আর্জেন্টাইন ফুটবলার পাবলো দিবালা, নাপোলির অধিনায়ক হামসিক, ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি ও এসি মিলানের গোলরক্ষক জিজি ডোনারুমমা। এ ছাড়াও বেশ কিছু ফুটবলার ও সাবেক ফুটবলাররা যোগাযোগ মাধ্যমে গালে লাল দাগ ব্যবহার করে স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডদের সাথে ছবি পোস্ট করে এটির সমর্থন জানিয়েছে। যেখানে হ্যাশ ট্যাগ ছিলো #unrossoallaviolenza  (A red card against violence) ‘উই ওয়ার্ল্ড নোলুস’ সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছে তারা প্রতি বছর এ সময় সপ্তাহ ব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করবেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য চেয়েছেন এটি নিয়ে আরও বড় করে কর্মসূচির আয়োজন করার জন্য।