গত ৯ নভেম্বর রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় তালেবানের সাথে আন্তর্জাতিক মহলের বৈঠক আফগানিস্তানের রাজনীতি মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে আশা করছে বিশ্লেষকরা। ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হয়তো পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারে ‘তালেবান’।
গত ৯ নভেম্বর মস্কোতে তালেবানের সাথে বৈঠকে বসেছিল ১২টি দেশের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকগণ। রাশিয়া প্রশাসনের আমন্ত্রণে উক্ত বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন চীন, ইরান, পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার ৬টি দেশের সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরা। এই দেশগুলো ভূরাজনৈতিক কারণে আফগান শান্তি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকা ও ভারত বৈঠকে প্রতিনিধির বদলে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। আফগানিস্তানও বেসরকারি পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে।
কিন্তু মূল যে বিষয়টি লক্ষ্য করার তা হলো, আন্তর্জাতিক শান্তি আলোচনায় যেখানে বর্তমান আশরাফ ঘানির সরকারের গুরুত্ব পাওয়ার কথা। সেখানে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ‘তালেবান’কে। যার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, তালেবানের পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি।
নানান কারণে রাশিয়া ও চীনের জন্য আফগানিস্তানে শান্তি খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আর তাই তারা হয়তো চাইছে ‘তালেবান’কে ক্ষমতায় বসিয়েই সে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।
তালেবান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং সিলমারা ব্যাক্তিদের সাথে যারা কিনা বহুদিন আমেরিকার বন্দি ছিলেন, তাদের সাথে বৈঠক করাটাই তালেবানকে ক্ষমতায় ফেরার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসছে। আবার তালেবান চাচ্ছে এই আলোচনায় আঞ্চলিক দেশসমূহের সম্পৃক্ততা, কারণ তালেবান মনে করে আঞ্চলিক দেশগুলোর সহযোগিতা ছাড়া এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব না। যা ক্ষমতায় বসারই ইঙ্গিতবহ।
অন্যদিকে তালেবানরা যেহেতু আশরাফ ঘানির সরকারকে বৈধ মনে করে না। সেহেতু আশরাফ ঘানি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোন দিক দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। যার ফলে যদি কোন শান্তি চুক্তি হয়, তবে ‘আফগানিস্তান’র ক্ষমতায় বসবে ‘তালেবান’।