জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ক্ষমতাসীনদের প্রকৃত আচরণ তত পরিষ্কার হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কিংবা বেতারে রাষ্ট্রের অর্থে নির্বাচনী প্রচারণাতো চলছেই, সাথে বিরোধী দলগুলোর রাজনীতি করার অধিকার নিয়েও এক রকম টানাটানি শুরু করেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপি। তাদের প্রার্থী নির্বাচনে দলের নেতা তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন মনোনয়ন প্রার্থীদের। তাতেও যেন হাত না দিলে সরকারের চলছে না।
গতকাল স্কাইপ বন্ধ করা সহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
তারপরও ঠেকাতে পারেনি তারেক রহমানকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তৃতীয় দিনের মতো বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারে বিকল্প ব্যবস্থায় অন্য অ্যাপের ভিডিও কলের মাধ্যমে তারেক রহমান যুক্ত হয়েছেন বলে সাক্ষাৎকার দিয়ে আসা মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার শুরু হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলছে। দুপুর আড়াইটার পর কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার হয়েছে।
গত রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাজশাহী ও রংপুরে বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া শুরু হয়। সেদিন থেকেই স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নানা প্রশ্ন করছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
উল্লেখ্য, দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেয়ার বিষয়টি আদালত অবমাননা বলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) লিখিত অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ। তবে ইসি এ অভিযোগ নাকচ করে দেন।
নির্বাচন কমিশন তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে সোমবার রাতে বাংলাদেশে স্কাইপ বন্ধ করে দেয়া হয়। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন করা হয় বলে অভিযোগ করে বিএনপি।