ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড বনাম যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হওয়া সত্ত্বেও স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। তার মূল কারণ ছিল থ্রি লায়ন্সদের সাবেক অধিনায়ক ওয়েন রুনিকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় দেয়া। যদিও গত বছরের সেপ্টেম্বরে রুনি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছে। কিন্তু যে মানুষটা ১৫ বছর ধরে থ্রিলায়ন্সদের হয়ে মাঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, যার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১২০ ম্যাচে ৫৩ গোলসহ ইংল্যান্ডের হয়ে সেরা গোল স্কোরারদের তালিকায় যার নাম আছে তার কি এতো সাদামাটা বিদায় সাজে? তাই তো প্রায় এক বছর পর অবসর ভেঙ্গে গতকাল মাঠে নেমেছিলো সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই তারকা।
গতকাল ম্যাচের ৫৮ মিনিটের সময় লিনগার্ড। তবে ম্যাচ শুরুর আগেই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় রুনিকে। ওই সময় রুনির স্ত্রী ও তার সন্তানদের সবাই মাঠে ছিলেন।
৫৮ মিনিটে মাঠে নামার পর বাকি ৩৩ মিনিটই মাঠে ছিলেন রুনি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বেজে উঠার সাথে সাথে ওয়েম্বলির মাঠে শেষ রুনির ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তাই ম্যাচের শেষে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেনি সাবেক রেড ডেভিলস অধিনায়ক। ড্রেসিরুমে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রুনি। তখন সতীর্থ ও কোচ তাকে সান্ত্বনা দেন। পরবর্তীতে রুনি বলেছেন, “অনেক দিন পর দলের প্লেয়ারদের সাথে খেলার সময়টুকু আমি উপভোগ করেছি। সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত।”
১৫ বছর আগে ২০০৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে রুনির অভিষেক হয়, যখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ১১১ দিন।