বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং উড্রো উইলসন সেন্টারের সিনিয়র স্কলার উইলিয়াম বি মাইলাম। শনিবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ইম্প্লিকেশন্স অব টার্গেটিং মিডিয়া এন্ড জার্নালিস্টস অন হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি একথা জানান।

তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি  জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার চায় যেন বাংলাদেশে আবারো একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা চালু হতে পারে। বাংলাদেশের উন্নয়নে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব রয়েছে সেহেতু বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা তাদের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে।

মাইলাম যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেন বাংলাদেশের এবারের নির্বাচনকে কোন ভাবেই একতরফা হতে দিবে না এবং মেনেও নিবে না যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকারের কথা উল্লেখ করে বলেন এই দেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে বর্তমান সরকার। তিনি বাংলাদেশে কিছু পরিচিত মানুষের কথাও উল্লেখ করে বলেছেন যে তারা বর্তমানে নিরব ভূমিকা পালন করছে শুধুমাত্র ভয় পেয়ে এবং এটি বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য মারাত্মক অশনি সংকেত।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিএনপির অংশগ্রহণ না করাটাও তাদের ভুল ছিলো এও বলেছেন তিনি। সে সময় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জিততে না পারলেও অন্তত একশ’ আসনের মালিকানা তারা বহন করতে পারত বলে জানান তিনি এবং এতে বর্তমান সরকার নানাবিধ জনবিরোধী আইন সংসদে পাশও করতে পারতো না।

সেমিনারে আরো উপস্থিত থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা কথা বলেন। তাদে অভিমতে উঠে আসে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থা। তারা বলেন যেকোন দেশের স্বৈরশাসক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে সবার আগে গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরেন আর বাংলাদেশেও তাই হয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের এই সীমাবদ্ধতার কারনে  সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে এদেশের জনগণ বলে জানায় তারা। এবারের নির্বাচনে তাই গণমাধ্যমকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলেই মত দেন তারা। তাদের মতে এভাবেই সাধারণের আস্থা আবার ফিরে পাবে গণমাধ্যম।