১৯৫৬ সালে ব্যালন ডি’অর চালু করেন ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’এর সম্পাদক গ্যাব্রিয়েল হান্তে। প্রাথমিক অবস্থায় ব্যালন ডি’অর শুধুমাত্র ইউরোপের ফুটবলারদের জন্য আয়োজন করা হতো। তবে ১৯৯৫ সালের দিকে ব্যালন ডি’অর এর জনপ্রিয়তা এবং গ্রহনযোগ্যতা দেখে ব্যালন ডি’অরকে আর ইউরোপিয়ানদের মাঝে সীমাবদ্ধ করে রাখেননি। ১৯৯৫ সালের পর থেকে ইউরোপ মহাদেশ ছাড়াও অন্য মহাদেশের ফুটবলারদের ব্যালন ডি’অর প্রদান করা হয়। তবে তখনও তা পুরোপুরি সর্বজনীন ছিলো না। কারণ ব্যালন ডি’অর জয়ের একমাত্র শর্ত ছিলো ইউরোপের কোনো লিগে খেলা খেলোয়াড় হতে হবে। তবে ২০০৭ সালের পর সকল নিয়ম বাদ করে দিয়ে ব্যালন ডি’অর সকল দেশের, ক্লাবের ফুটবলারদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর শুধুমাত্র ইউরোপিয়ানদের জন্য আয়োজন করায় সে সময় ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুটবলার পেলে, ম্যারাডোনা, গ্যারিঞ্চা, রোমেরিও, মারিও কেম্পেসের মত ফুটবলার ব্যালন ডি’অর পান নি। তাই ২০১৬ সালে ব্যালন ডি’অর এর ৬০ বছরে পদার্পণ করায় একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় এবং সেই অনুষ্ঠানে ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১২ টি ব্যালন ডি’অরে ইউরোপ মহাদেশের বাহিরে সে সময়কার সেরা ফুটবলারদের বিশেষভাবে “বিকল্প ব্যালন ডি’অর জয়ী” ঘোষণা করা হয়।
১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৪ এবং ১৯৭০ সালের বিকল্প ব্যালন ডি’অর জয়ী ঘোষণা করা হয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার পেলেকে। তাকে সর্বমোট ৭ বার ব্যালন ডি’অর জয়ী ঘোষণা করা হয়।
১৯৬২ সালের বিকল্প ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় আরেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার গ্যারিঞ্চাকে।
১৯৭৮ সালের বিকল্প ব্যালন ডি’অর জয়ী ঘোষণা করা হয় আর্জেন্টাইন ফুটবলার মারিও কেম্পেস কে।
১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালের বিকল্প ব্যালন ডি’অর জয়ী ঘোষণা করা হয় আর্জেন্টাইন ফুটবলার ডিয়াগো ম্যারাডোনাকে।
এবং ১৯৯৪ সালের বিকল্প ব্যালন ডি’অর জয়ী ঘোষণা করা হয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোমেরিওকে ।