ইসরায়েলি বাহিনীর চোরাগুপ্তা হামলায় প্রাণ হারালো ৭ ফিলিস্তিন নাগরিক। হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্যকরেই এই হামলা চালায় ইসরায়েলি কমান্ড বাহিনী। হামলা শেষে কমান্ডোরা গাড়িতে ইসরায়েলে পালিয়ে যায় এবং এ সময় তাদের নিরাপদে পালিয়ে যেতে বিমান হামলাও চালায় তারা।
হামাস অধ্যুষিত এলাকায় রবিরাব ইসরাইল এই বহিঃআক্রমণ করে। তারা রকেট হামলাও চালিয়েছে। হামাস সুত্র জানিয়েছে গাজার খান ইউনুস শহরে গতকাল বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলের বিশেষ বাহিনী অনুপ্রবেশ করে অতর্কিতে এই হামলা চালায়।
এই হামলায় হামাসের সামরিক উইং, আল-কাসেম ব্রিগেড’র একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা নূর বারাকা নিহত হন বলে জানা যায়।
অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হামাস।
হামাসের উধ্র্বতন কর্মকর্তা গাজী হামাদ এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন “আমরা শুনেছি ইসরায়েলের বিশেষ একটি ইউনিট খান ইউনুস শহরে প্রবেশ করে নূর বারাকা এবং আরো একজন কমান্ডারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।”
তিনি আরো বলেন “হত্যার পর বিশেষ বাহিনী এবং কিছু সহযোগী এক সাথে পালিয়ে গেলে হামাস এবং আল-কাসেম এর সদস্যরা তাদের পিছু নেয়। হামলাকারীরা নিজেদের কে রক্ষার খাতিরে গাজায় আবার হামলা চালায় এবং শুরু হয় বিমান এবং রকেট হামলা।”
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে হামাস এবং ঠিক সেই সময়েই বিমান হামলা শুরু হয়। তাদের তথ্য মতে সেই সময় বিমান থেকে চল্লিশটিরও বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয় এবং এতে আরো ৪ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়।