যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব ফেলেনি : রোহানি

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব ফেলেনি : রোহানি

ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রোহানি ঘোষণা দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতিতে কোনরকম প্রভাব ফেলেনি। গত সপ্তাহে ডাকা এই নিষেধাজ্ঞার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে নানাভাবেই অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে ফেলতে চেষ্টা করে এসেছে তাই ইরান আগে থেকেই সতর্ক ছিল আর এই সতর্কতার কারনেই ইরান এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইরানের জাতীয় টিভি স্টেশনে লাইভে তিনি আরো বলেন “আমেরিকার কোন নিষেধাজ্ঞা আমাদের উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না কারণ ইতোমধ্যেই তারা আমাদের উপর বিদ্বেষের সকল অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেছে।”

ইরানের ব্যাংকিং ব্যাবস্থা এবং জ্বালানি তেলের রপ্তানিকে বন্ধ করে, ইরানকে একঘরে করতেই গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসার পরপরই ইরান ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় বিশ্বগণমাধ্যমে। প্রতিক্রিয়ায় রোহানি জানান “আমরা খুব গর্বের সাথেই আমেরিকার এই অনৈতিক আর বর্বর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করতে পারবো।”

ওয়শিংটন খুবই নির্দয় ভাবে শপথ করেই ইরানকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। আমেরিকার স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেই জানায়, আমেরিকা চায় ইরান যেন তাদের পদক্ষেপ থেকে উলটো ঘুরতে বাধ্য হয় এবং তারা যেন তাদের বর্তমান বিল্পবী চেতনা থেকে বেরিয়ে আসে।

এদিকে জাতিসংঘের পরিদর্শকেরা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরী বারাক ওবামার সাথে করা পরমানু চুক্তি ঠিকঠাকভাবেই মেনে চলছিল ইরান। পরমানু চুক্তিটি ইউরোপীয় শক্তি, রাশিয়া এবং চীনের উপস্থিতিতেই করা হয়েছিল যার চুড়ান্ত মোহর দেয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

এদিকে আমেরিকা বাদে যে সকল শক্তির উপস্থিতিতে ইরান-আমেরিকার পরমানু চুক্তিটি হয়েছিল তারা সবাই আমেরিকার নতুন এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মতে পরমানু চুক্তিটি ছিল একটি যুক্ত পরিকল্পনা যেখানে আমেরিকা-ইরান ছাড়াও রাশিয়া, চীনের মত দেশগুলো ছিল আর তাই আমেরিকার এমন একলা সিদ্ধান্তে নারাজ দেশগুলো।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ইরাককে ইরান থেকে সীমিতভাবে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই বিষয়ে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছে “ নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকে পরের ৪৫ দিন ইরাক ইরানের কাছ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিদ্যুৎ আমদানি করার অনুমতি পেয়েছে আমেরিকার কাছ থেকে। এই অনুমতি ইরাককে জ্বালানি স্বয়ংসম্পন্ন করার জন্য দেয়া হয়েছে।”