বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় রাজশাহীতে শুরু হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর এটিই শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশ।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশে আসতে ভয়াবহ বাঁধা পার হতে হয়েছে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত নেতাকর্মীদের। সমাবেশ বানচাল করতে ডাক দেয়া হয়েছিল ধর্মঘট। সে সবকে উপেক্ষা করে যখন নেতাকর্মীরা বিকল্প পথ কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িতে আসছিল। তখনই তাদের পড়তে হয়েছে পুলিশি বাঁধার মুখে। জায়গায় জায়গায় পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেই ঐক্যফন্টের সমাবেশে নামে জনতার ঢল।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। পথে পথে বাধা অতিক্রম করে আপনারা গণতন্ত্রের জন্য এসেছেন। এখন সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ। আজকে প্রশ্ন, গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে কি না, তা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি আদায় করতে হবে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনের তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ।
একই সাথে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিথযশা রাজনীতিবিদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই সরকারের ভীত নড়ে গেছে। এই সরকারের ভীত হল পুলিশ, দুর্নীতি। এর বাইরে কিছু নেই। আজকের সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে, বাস বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও সবকিছু উপেক্ষা করে এতো লোক এসেছেন। এতো লোককে কি গ্রেফতার করা যাবে? গ্রেফতার করা সম্ভব? যাবে না। তাদের ভীত নড়ে গেছে। তারা পালাবার পথ খুঁজছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যকার দ্বিতীয় সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট তফসিল পেছানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের একগুঁয়েমি আচরণের কারণে তা করেনি। এবং সেই সাথে ঐক্যফ্রন্টের সাথে‘ সংলাপ শেষ’ উল্লেখ করে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য করে। আর আজ যখন আন্দোলনের পথে হাটছে ঐক্যফ্রন্ট তখন ধর্মঘট ডেকে, পুলিশি ব্যারিকেড দিয়ে তা বাঁধাগ্রস্ত করার কূটকৌশল অবলম্বন করছে তারা।