নির্বাচন করতে চাইলে জামায়াতকে আটকানোর মতো আইন নেই : ইসি সচিব

নির্বাচন করতে চাইলে জামায়াতকে আটকানোর মতো আইন নেই : ইসি সচিব

ঘোষণা হয়ে গেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। সরকারপন্থী দলগুলো এবং নেতারা ইতোমধ্যে শোডাউনও শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির বেড়াজালে পড়ে বাতিল হওয়া কিংবা নিবন্ধন না পাওয়া দলগুলোর ভবিষ্যৎ কি? সেটা চিন্তার বিষয়। আজ শুক্রবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সে বিষয়েই মুখ খুললেন। সদ্য নিবন্ধন বাতিল হওয়া দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামিকে নিয়ে তিনি বলেন, জামায়াত অন্য কোনো দলের প্রতীকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে তাদেরকে আটকানোর মতো আইন বাংলাদেশে নেই।

অনিবন্ধিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে তিনি আরো বলেন, যেসব দলের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন নেই সেসব দলও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে দলগুলোকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতারা নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি আইনে নেই। কিন্তু কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যদি কোনো অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীকে নমিনেশন দেয়, তাহলে তো আমরা বাধা দিতে পারব না।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের সদস্যরা স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে কি না বা কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা অন্য কোনো দলের প্রতীকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনর করতে চাইলে তাদেরকে আটকানোর মতো আইন বাংলাদেশে নেই।

সচিব আরো জানান, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। আজকেই (শুক্রবার) দলগুলোকে এ বিষয়ে জানাতে চিঠি দেয়া হবে।

নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে সচিব বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে না। আগামী সাত দিনের মধ্যে আগাম প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত বিষয়াদি সরিয়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।