পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পাওয়ার পর খ্রিষ্ট্রান নারী আসিয়া বিবি কারাগার থেকেও ছাড়া পেয়েছেন। ধর্ম অবমাননার দায়ে ব্লাসফেমি আইনে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে বিগত আট বছর যাবৎ কারাগারে ছিলেন আসিয়া বিবি।
বুধবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আসিয়া বিবিকে খালাস দেয়ার আদেশ দিলে পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে প্রায় অচল হয়ে পড়ে করাচি। পাঞ্জাবে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তারা অবিলম্বে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানায়। ফলে, তার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি আটকে যায়। সরকার এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের সাথে একটি চুক্তি করে। সেখানে আসিয়া বিবির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বলা হয়।
আসিয়া বিবির আইনজীবী সাইফ-উল-মুলুক জানান, তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, তিনি এখন বিমানে। কিন্তু তাকে নিয়ে বিমান কোথায় অবতরণ করবে তা কেউ জানে না।
কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মাদ ফয়সাল বৃহস্পতিবার আসিয়া বিবি দেশ ছেড়েছেন- সংবাদ মাধ্যমের এমন খবর প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি পাকিস্তানেই আছেন।
গোয়েন্দা সংস্থাও বলছে, তিনি দেশ ছাড়েন নি।
একজন কারারক্ষী বলেন, মুলতানে জেলে থাকা আসিয়া বিবিকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশপত্র কারাগারে বুধবার এসে পৌঁছায়।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট এন্তোনিও তাজানি বলেন, আসিয়া বিবি কারাগার ত্যাগ করেছেন। তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মুলতানে বিমান পরিবহন কর্মকর্তা বলেন, একটি ছোট্ট বিমান শহরটিতে আসে। এতে চড়ে কিছু বিদেশি ও পাকিস্তানি তাকে নিতে আসেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রতিবেশীর সাথে পানি নিয়ে বিবাদের জের ধরে আসিয়া বিবি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।