ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের প্রতীক হয়ে ওঠা আ’ইদ আবু আমরো ইসরায়েল সেনাদের গুলিতে আহত হয়েছেন। আবু আমরোর সেই এক হাতে পতাকা অন্য হাতে গুলতির ছবিটা স্বারা বিশ্বে ঝড় তুলেছিল। ২২ বছর বয়সী এই যুবকের সেই ছবিটাই ফিলিস্তিনিবাসীদের স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আবু আমারোর সেই ছবিটি ফার্সি বিপ্লবের সেই বিখ্যাত চিত্র ‘লিবার্টি লিডিং পিপল’ বা ‘স্বাধীনতার পথে জনতা’র সাথে তুলনাও করা হয়েছিল। যেখানে ফার্সি বিপ্লবের সেই ছবিটিতেও এক ফার্সি নগ্নপ্রায় তরুণীকে একহাতে ফ্রান্সের পতাকা নিয়ে আর এক হাতে বল্লম নিয়ে বিদ্রোহ করতে দেখা যায়।
গত সোমবার গাজার উত্তর সীমান্তে এগারো বছর পুরনো একটি জমি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে ফিলিস্তিনির বিক্ষোভকারীরা। আবু আমরো সেই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে এবং ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে তার পা মারাত্মকভাবে জখম হয় বলে জানা যায়।
সে নিজেও নিজের বন্ধু মহল এবং পরিচিতদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে থাকে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আবু আমরো বলেন “আন্দোলনে আমার যদি মৃত্যু হয় তাহলে আমি চাইবো আমার কাফন যেন ওই পতাকা দিয়েই হয়। আমরা আমাদের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার চাই, আমরা আমাদের অধিকারের জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকারের জন্য লড়াই করছি এবং লড়াই চালিয়ে যাব।”
যে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছিল তার ফটোগ্রাফার ছিলেন আনাদলু এজেন্সির ফটোজার্নালিস্ট মোস্তফা হাসানা। ছবিটি গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় তোলা।
এই বিষয়ে মোস্তাফা হাসানা বলেছেন “আমি শুধু আন্দোলনে ছবি তুলতে যাই না আমি যাই আন্দোলনের অংশ হয়ে থাকতে, সাহস যোগাতে।”
গত সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনবাসী আন্দোলন করে আসছে তাদের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, ইসরায়েলি সরকার বেশ গাজার উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু বাসিন্দাকে বাস্তুহারা করে তাদের জায়গা দখল করে এবং সেখানে কাটাতারের বেড়া দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। ফিলিস্তিনবাসী তাদের সেই আপনভূমি থেকে ৭০ বছর যাবত নির্বাসিত।
গত ত্রিশ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি জনতা তাদের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য বিরাট আন্দোলন করে যেখানে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং হাজারো আহত হন। এদিকে ইসরাইয়েল সরকার হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে সেই এলাকায়।