এই সপ্তাহে ইতালির ফুটবল ক্লাব জুভেন্টাস ১২১ বছরে পদার্পণ করায় জুভেন্টাসকে নিয়ে জবানের বিশেষ আয়োজন।
যেকোনো দলের লোগো বা জার্সির রং মূলত সেই দলের পরিচয় বহন করে বেড়ায়। তেমনিভাবে জুভেন্টাস প্রাথমিকভাবে কালো শর্টস, গোলাপী শার্ট তাদের দলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতো। তবে ১৯০৩ সালে তৎকালীন জুভেন্টাসের একজন ইংরেজ সদস্য জন স্যাভেজকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে যোগাযোগ করে নতুন জার্সি উৎপাদনের। তখন জন স্যাভেজ ইংল্যান্ডে তার এক ব্যবসায়ী বন্ধুর কথা বলে জুভেটাসের জার্সি তৈরির কাজ শুরু করেন। তবে এখানে মজার একটি ঘটনা ঘটল। জন স্যাভেজের ব্যবসায়ী বন্ধু ইংলিশ ক্লাব নোটস কাউন্টির ফ্যান হওয়ায় জুভেন্টাসের জার্সি ও নোটস কাউন্টির সাথে মিল রেখে সাদা কালো ডোরাকাটা ডিজাইন করলো। তবে এই ডিজাইন জুভেন্টাসের পরিচালনা কমিটির কাছে বেশ ভালোই লেগেছিলো তারপর থেকেই জুভেন্টাস কালো সাদা ডোরাকাটা জার্সি ব্যবহার করে থাকেন।
১৯০৫ সালে সর্বপ্রথম জুভেন্টাস জার্সিতে লোগো ব্যবহার শুরু করেন। ১৯২১ সালে সেই লোগোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। রঙ আগের মত থাকলেও এবার তা সম্পূর্ণ ডিম্বাকৃতি করেন। সেই ডিম্বাকৃতির মাঝে সাদা তিনটি ও কালো দুইটি স্ট্রিপ ছিলো।
১৯২৯ সালে প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের পর লোগোর মাঝে একটি জেব্রার প্রতিকৃতি যোগ করেন। তবে তা খুব বেশিদিন রাখা হয়নি। ১৯৩১ সালেই জেব্রার প্রতিকৃতিটি বাতিল করে বুনো ষাঁড়ের প্রতিকৃতি যোগ করেন। পরবর্তীতে ১৯৪০ ও ১৯৭১ সালে তার হালকা সংস্কার করা হলেও ১৯৭৯ সালে একদম নতুন লোগো উন্মোচন করে জুভেন্টাস। এই লোগোটি দুই পা উঁচু করা একটি ঘোড়ার প্রতিকৃতি ছিলো। ১৯৯০ সালে আবারও ১৯৭১ সালের লোগো নতুন করে সংস্কার করে ব্যবহার শুরু করেন। শুধুমাত্র সেই লোগোর উপরে নতুন করে দুইটি তারকা যুক্ত করেছিলো। ২০০৪ সালে সংস্কার করে সেই তারকা দুটি আবার বাদ দিয়ে দেয়া হয়।
সর্বশেষ ২০১৭ তে জুভেটাস আবার তাদের লোগো পরিবর্তন করেছে।
এখানে লোগোটিতে ইংরেজি অক্ষর ‘জে’ দৃশ্যমান। মূলত জুভেন্টাসের আদ্যক্ষর বলে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। জুভেন্টাসের প্রাক্তন মালিক জিয়ান্নি অ্যাগনেল্লি একবার বলেছিলেন, ‘যখনই খবরের কাগজে জে অক্ষরটি দিয়ে শুরু কোনো শব্দ চোখে পড়ে বাড়তি উত্তেজিত হয়ে উঠি আমি।’ পুরনো কর্ণধারের ‘জে’ প্রীতিকে বাড়তি মর্যাদা দিতেই হয়ত জুভেন্টাসের বর্তমান পরিচালনবর্গ ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির নতুন লোগোয় এই অক্ষরটিকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।