ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল তুরস্ক

ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল তুরস্ক

ইরান ইস্যুতে এবার ওয়াশিংটনকে সতর্ক করল তুরস্ক। ইরানকে দেয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়েই এমন সতর্কবার্তা দিলো তুরস্ক। আজ মঙ্গলবার সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলভুত কাভুসগলু বলেছেন ইসলামিক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে দেয়া নিষেধাজ্ঞা ‘ভয়ানক’ হতে পারে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফায় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ডাক দেয়। ইরানের ব্যাংকিং খাত ধ্বংস এবং জ্বালানি তেলের রপ্তানি বন্ধ করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা।

তুরস্কসহ মোট আটটি দেশকে ইরানি জ্বালানি তেল কেনার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানে অবস্থানকালীন এক সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বলেন “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে অব্যাহতি চেয়েছিলাম, আমরা তাদেরকে এটাও খোলামেলা জানিয়েছিলাম যে ইরানকে একঘরে করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। ইরানকে বিচ্ছিন্ন করাটা হবে বিপজ্জনক এবং ইরানি জনগণকে শাস্তি দেয়াটা হবে অনুচিত।”

তিনি আরো বলেন, “ইরানের উপর এমন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। এই রকমের নিষেধাজ্ঞা থেকে কোন ভাল ফল আসবেনা বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমি মনে করি নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেয়ে একটি সংলাপ বেশি উপকারি হবে।”

২০১৫ সালে ইরানের বিরুদ্ধে সকল রকমের নিষেধাজ্ঞা ‘পরমানু চুক্তি’র পর তুলে নেয়া হয়। এবছর ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।

এদিকে জাপান আর তুরস্কসহ মোট আটটি দেশ কোনরকম কূটনৈতিক বিপাক ছাড়ায় ইরানের কাছ থেকে জ্বালানি তেল আমদানী করতে পারবে বলে একটি নির্দেশনায় জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই আটটি রাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোন রাষ্ট্র ইরান থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সে দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের দায়ভার সে দেশকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আমেরিকার নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় ক্ষোভে ফেটে পরে পুরো ইরান। ইরানের রাষ্ট্রপতি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেছেন “ইরান এই নিষেধাজ্ঞা কে খুব সহজেই পাশকাটিয়ে যাবে। সেই সক্ষমতা ইরানের আছে এবং এই বিষয়ে তারা চিন্তিতও নয়।”

আর এই বিষয়ে জাতিসংঘের পরিদর্শক দল জানিয়েছেন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে করা পরমানু চুক্তি ভালোভাবেই মেনে আসছিল এবং রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সাথে নিয়েই ইরানের সাথে পরমানু চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে সে সকল দেশের সাথে কোন রকম আলোচনা না করে আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদেরকে দুর্বল প্রমাণ করেছে।