বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন বুম বার্নিকাট। আজ তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী বৈঠকে বসেন। সেখানে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও অনেক কথা হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে বার্নিকাট জানান, বাংলাদেশের সাথে তার দেশের সম্পর্ক সবসময় অটুট থাকবে। এই সময় বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা আসলে উভয়ই বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে বার্নিকাট পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংলাপ খুবই জরুরি। একই সরকারের এতদিন ক্ষমতায় থাকা এবং বিশেষত গত নির্বাচনের পর দেশের রাজনীতিতে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলটা থেকে উত্তরনের জন্য সংলাপ অনেক জরুরি।
বার্নিকাট সংলাপ নিয়ে আরো বলেন “সংলাপ নিয়ে আমি আশাবাদী”। আসন্ন নির্বাচনে সকল দলদের অংশগ্রহণ চায় যুক্তরাষ্ট্র এমনটাই জানা গিয়েছে। তাই সুস্থ রাজনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করে সরকারকে একটি সুস্থ নির্বাচন করার আহ্বান করেন এই বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
নির্বাচন ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে। এ বিষয়ে বার্নিকাট বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সুস্থভাবে ফিরে যেতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে আমেরিকান সরকার। এছাড়াও বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বার্নিকাটের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন। বার্নিকাটও বাংলাদেশের সকল সাফল্যের আশা প্রকাশ করে তার বৈঠক শেষ করেন।
তবে নির্বাচনের ঠিক আগে আগেই বার্নিকাটের বিদায়কে একটু অন্যভাবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। অনেকেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে নির্বাচনের আগে তাকে যেতে বাধ্য করাও হতে পারে। উল্লেখ্য, দশম জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেক কথেই বলেছিলেন বার্নিকাট তার কর্মকালীন সময়ে যা বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগের জন্য ছিলো বিব্রতকর।