জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার দ্বিতীয় বিজয় এবার উদযাপন করতেই পারে। জনসভাগুলোয় আপামর জনতার সাড়াই বলে দিয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনছে। এবার সংলাপ-বিমুখ আওয়ামী লীগকেও সংলাপে বসতে বাধ্য করলো ঐক্যফ্রন্ট।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যের সাথে আওয়ামী লীগের সংলাপে বসার কথা নিশ্চি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে জানিয়ে দিচ্ছি যে, তাদের সংলাপের প্রস্তাবের সঙ্গে আমরা একমত।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিতে চান না। খুব শিগগিরই সংলাপের সময় ও স্থান এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বিষয় তাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এ এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, একদিন আগে রবিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেন যুদ্ধাপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়েছেন, এজন্য তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। এর আগে শুক্রবার ঐক্যফ্রন্টের দাবিকে ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
অথচ এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তারা। একথা বলাই যায় ঐক্যফ্রন্ট ভালোই চাপে ফেলেছে ক্ষমতাসীনদের। এখন দেখার বিষয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই ঐক্যফ্রন্ট কতটুকু জনগণের বিশ্বাস রক্ষা করতে পারে?