চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন ও ৪০তম বিসিএসকে এর আওতাভুক্ত করে ৩৫ এর প্রজ্ঞাপননের দাবিতে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ।
আজ দুপুর থেকে রাজধানীর শাহবাগে তারা এই কর্মসূচী পালন করছে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীবৃন্দ।
সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বস্থানীয় একজন বলেন, সেশন জটের অজুহাত দেখিতে ২৬ লক্ষ উচ্চ শিক্ষিত তরুণের এই দাবি (বয়সসীমা ৩৫ করার) আজও মেনে নেয়া হয় নাই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের এই যৌক্তিক দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ যখন উপেক্ষিত তখন বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকাবস্থায় ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে যুব সমাজ আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু এর কোনো হেস্তনেস্ত এখনও হয় নাই।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সরকারি চাকরি শুরুর করার বয়স-সীমা বাড়ানোর দাবিতে গত ছ’বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামের একটি সংগঠন। তাদের দাবি বর্তমানে বেঁধে দেওয়া বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করতে হবে। গত জুনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯ তম সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়। এর আগে কমিটির ২১তম সভায় বয়স ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল।
চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবির যৌক্তিকতা সম্বন্ধে জানতে চাইলে একজন বলেন, “চাকরিতে বয়স বাড়ানো উন্নয়নের পথে বাঁধা হতে পারে নানা। বিশ্বের ১০৭টি দেশে চাকরির বয়সের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপসহ এসব দেশে চাকরির বয়স হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫৯ পর্যন্ত। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্যে চাকরির বয়স সীমা ৩৫ থেকে ৪৫।”
সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদীয়া সুলতানাসহ প্রমুখ নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।