বাংলাদেশে একটিও পানের দোকান নেই এমন এলাকা খুঁজে পাওয়া কঠিন। আর এই বাক্য প্রমাণ করে দেয় পানের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে আষ্ঠেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে এই পান। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে পান খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
পানের সাথে বা পান পাতার সাথে সুপারি, মশলা, চুন, তামাক বা জর্দা ব্যবহারের ফলে আমাদের মধ্যে পান সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাই সামনে আসে। কিন্তু এতেই পানের উপকারিতা শেষ নয়। নানান স্বাস্থ্য সমস্যায় পান পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে :
ওজন হ্রাস করতে
পানের রস হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত পানি, বিষাক্ত পর্দাথ শরীর থেকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয় এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে থাকে। এর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আর এই সবকিছু ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাছাড়া পান পাতায় রয়েছে গ্যাস্ট্রো প্রটেকটিভ, অ্যান্টি-ফ্লটুলেন্ট এবং কার্মিনেটিভ এজেন্ট যার কারণে পান চাবানোর সময় মুখে স্যালাইভা তৈরি করে। এই স্যালাইভা খাদ্য হজমে সহযোগিতা করে।
হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা
পলিফেনাল নামে এক ধরণের অ্যান্টি-ইনফ্লামমেটরি উপাদান রয়েছে পান পাতায়, যা প্রদাহ বা যন্ত্রণা কমাতে দারুণ কাজ করে। এইজন্য অনেককে জয়েন্টের ব্যথার জন্য পানের রস সরবারহ করে।
ক্ষত সারাতে
পান পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এর অক্সিডেটিভ উপাদান ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে। ক্ষত স্থানে কিছু পরিমাণ পান পাতার রস লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করা হলে দুই বা তিন দিনের মধ্যে ক্ষত সেরে যায়।
গলা ব্যথা রোধে
পান পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামমেটরি উপাদান ঠাণ্ডা এবং ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পান পাতা এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন এটি গলার ইনফেকশন রোধ করবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর
মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পান পাতা এক মোক্ষম ঔষধ। পান পাতা চিবানোর সময় মুখে ভিতর স্যালাইভা উৎপাদন করে যা ওরাল ব্যাক্টেরিয়া রোধ করে এবং পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।