বাহ লিটন! বাহ ইমরুল!
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ থেকে নিয়মিত একটি চিত্রনাট্য অনুসরণ করে আসছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই দুই-তিন উইকেট খুইয়ে কোনো একজনের বীরত্বে ম্যাচটায় বাংলাদেশ হয় টিকে থাকত অথবা জিতেই আসত। প্রায় অভ্যস্ত হতে বসা এ চিত্রনাট্য বদলে দিয়ে এদিন ইমরুল-লিটন গড়েছেন শত রানের জুটি। দুজন যে ভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড মনে হচ্ছিল সময়ের বেপার মাত্র। কিন্তু বিদ্যুৎ-অপিকে স্বস্তি দিয়ে তেমন কিছু ঘটার আগেই ঘরে ফেরার পথ দেখেন লিটন।
সেই পুরোন রোগ
লিটন আউট হবার আগে এক মুহুর্তের জন্যও মনে হয়নি তিনি আউট হতে পারেন। কিন্তু, গত ম্যাচ শেষেই যে কথাটা বলেছিলাম, উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসার যে প্রবণতা সেটি এ ম্যাচেও দেখা গিয়েছে। এ বিষয়টি হতাশ করার মতন। লিটন এর মান নিয়ে যে প্রশ্ন নেই সেটি কাল আরো একবার প্রমাণ করেছেন তিনি। তিনি উইকেটে থাকা মানেই রান। এখন লিটনের প্রয়োজন নিজের উইকেটের গুরুত্বটা অনুধাবন করা।
নতুন ইমরুলকেই দেখছে সবাই
গত ম্যাচের সেঞ্চুরির পাশাপাশি ব্যাটিং এর ধরণ দেখে বলেছিলাম নতুন ইমরুলকেই যেন দেখছি। এ ম্যাচেও সেটি দেখিয়েছেন তিনি। এক ইনিংস অসাধারন খেলার পরেই যে জঘন্যভাবে আউট হবার অভ্যাস আমাদের ব্যাটসম্যানদের রয়েছে সেটি থেকে যে তিনি নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন এটিও অসাধারন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নিজের উইকেটের গুরুত্বটা তিনি অনুধাবন করছেন। সেঞ্চুরি না পাওয়াটা শুধু তাকে না হতাশ করেছে সবাইকেই।
ওপেনিং নিয়ে নতুন সমস্যা
ওপেনিং নিয়ে হাপিত্যেশ অনেক দিনের। সুযোগ পাবার পর ইমরুল সেটিকে যেভাবে কাজে লাগাচ্ছেন সেটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের জন্য নতুন সমস্যার জন্ম দিবে। তামিমের সাথে লিটন না ইমরুল; এটি বাঁছাই করতে বেশ বেগ পেতে হবে এবার। ইমরুল শুধু রান পাচ্ছেন বলেই না, বরং যে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করছেন তাতে তাকে বাদ দেয়ার আগে বহুবার ভাবতে হবে। ওপেনিং সমস্যাটা থেকেই যাচ্ছে তবে, সেটি মধুরই লাগার কথা সবার।
বোলিং এ উন্নতি চোখে পরার মত
জিম্বাবুয়ে যে ভাবে শুরু করেছিল তাতে ২৭০-৮০ খুবই সম্ভব হসেই মনে হচ্ছিল। ৩৫ম ওভারের পরেও তেমনটিই মনে হয়েছে। তারপর জিম্বাবুয়ে যে ২৫০ ই করতে পারল না, এ কৃতিত্ব বোলারদের দিতেই হবে। সবার সাথে সাইফের নামটা একটু আলাদা করেই নিবো। সিরিজ শুরুর আগেই বলেছিলাম বাড়তি নজর দাবি করেন এই অলরাউল্ডার। দু’ম্যাচ শেষে মনে হচ্ছে একটু কমই বলে ফেলেছি, আরো বেশ কিছুই লেখা যেত তাকে নিয়ে।
সৌম্য তে…
কিছু লিখলাম না পরে, যা খুশি বসিয়ে নিতে পারেন। পনেরো জনের একটি স্কোয়াড রয়েছে, সেখানে একজন খারাপ খেলায় তার বদলি স্কোয়াডের পনেরো জনের একজনেরই হবার কথা। কিন্তু, নির্বাচকদের সৌম্য প্রেম এতই বেশি জাতীয় লিগে কিছু রান কার মাত্রই দলে হাজির বান্দা। ফজলে রাব্বির বদলে যে তিনিই মাঠে নামবেন এ নিয়ে বাজি চলতে পারে। তবে, আমার মতে প্রেম যখন এতই গভীর যে তাকে ছাড়া থাকাই যায় না, তাহলে তার পিঠ বাঁচানোরও একটা বন্দোবস্ত করা দরকার। তিনে সৌম্যকে খেলানো হবে আত্নঘাতী। তার বদলে মাহমুদুল্লাহকে তিনে প্রমোশন দিয়ে সৌম্যকে স্লগ করানোর জন্য খেলানো যায়। তাতে তিনিও কিছুটা চাপমুক্ত থাকবেন।