ইরানে অর্থনৈতিক সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে প্রায় ৭০ শতাংশ কারখানা, কর্মশালা এবং খনি। এছাড়াও দেওলিয়া হওয়ার পথে অনেক প্রতিষ্ঠান। ইরানের সরকারি গণমাধ্যম এর বরাতে জানা যায়, এ বিষয়ে উপযোগিতা নির্ণয় কাউন্সিলের সদস্য মোস্তাফা মিরসালিন বলেন “আমাদের দেশের শিল্পখাত মূলত পরিচালিত হয় শিল্প, খনি ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে, সুতরাং এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যার উপর বর্তায় তার উচিৎ ব্যাক্তিগত, পারিবারিক এবং রাজনৈতিক যে কোন উদ্দেশ্য বাদ দিয়ে এই অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সচেষ্ট হওয়া।”
এর আগেই কাঁচামাল সরবরাহের সঙ্কটের কারনে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আভাস মিলেছিল। মূলত ইরানে আমেরিকার ডলারের যেকোন ধরণের ট্রানজেকশনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকা আর এই কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে এবং ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকা সরে এসে আবার নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের উপর এবং সেখান থেকেই সঙ্কটের শুরু। ইরানিদের জীবনমান কমে যাওয়ায় এবং মুদ্রার দর ক্রমাগত ভাবে নেমে আসার কারণে ইরানের প্রেসিডেন্ট রোহানি উপরও আলাদা চাপ আসছে।
এদিকে সরকারি তথ্যমতে জানা গেছে, খাদ্যদ্রব্যের দাম ৫০% থেকে প্রায় ১০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে যা ইরানের অর্থনীতির ইতিহাসে বিরল। এদিকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার ৭ ডলার সমমূল্যের রেশন কার্ডের ব্যাবস্থা করেছে। ইরান সরকার খুব শীঘ্রই এমন এক কোটি রেশন কার্ড জনগণকে হস্তান্তর করবে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক আদালতে জয়লাভ করায় মানবিক খাতে নিষেধাজ্ঞার সুযোগ পাবে না আমেরিকা। কিন্তু বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা শিল্প কারখানায় প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য ইরান খুব দ্রুতই এই পরিস্থিতি সামলে উঠবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।