ফুলকপির গুণাগুণ

ফুলকপির গুণাগুণ

শীতকালে তরতাজা সবজিতে ঠাসা থাকে বাজার। এসমস্ত মৌসুমি সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় কিংবা সবচেয়ে জনপ্রিয় হিসেব করলে যে তিন চারটি সবজির নাম সামনে আসে তার মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। স্বাস্থ্যকর ডায়েট সবজি রান্না কিংবা দেশি মাছ অথবা নুডলস বা ম্যাকারনি রান্নায় ফুলকপির জুড়ি মেলা ভার। শুধু স্বাদ নয় ফুলকপির রয়েছে নানান ঔষধি গুণাগুণ :

১. ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণা মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ’র মিথাইলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। সালফোরাফেন মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে রোধ করে। অন্য এক গবেষণায় জানা যায়, ফুলকপির সঙ্গে হলুদ যোগ করে খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

২. ফুলকপিতে বিদ্যমান আরেকটি উপকারি যৌগ হচ্ছে কোলাইন। কোলাইন হল ভিটামিন বি’ ভুক্ত। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময় ফুলকপি খেলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে ত্বরান্বিত হয়। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহযোগিতা করে।

৩. ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।

৫. ফুলকপি ফাইবারের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাই এটি হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। ফুলকপি পাকস্থলীর প্রাচীরের সুরক্ষায় সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন পাকস্থলীর হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে এবং পাকস্থলীর প্রাচীরে এর আবদ্ধ হওয়াকে প্রতিহত করে।

৬. ফুলকপিতে ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, রুটিন, সিনামিক অ্যাসিডসহ আরো অনেক উপাদান থাকে। এগুলো বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে।