মইনুল হোসেনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

মইনুল হোসেনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন সরকারের ‘ধরপাকড়’ একটি অনিবার্য কার্যক্রম। আর তা কোথা থেকে কিভাবে শুরু হবে তারই প্রহর গুনছিলো জনগণ। এই ধরপাকড়ের প্রধান শিকার যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই হবে তাও স্বাভাবিক। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে দিয়েই শুরু হলো সেই ক্রাকডাউন।

প্রধানমন্ত্রীর ভরসার পর মানহানির মামলা এবং তার পরই গ্রেফতার। সকাল হতেই আদালত এবং আদালত থেকে কারাগার। মূলত কারাগারেই ছিল পরিণতি। শুধু আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আদালতে ঘুরাঘুরি।

গতকাল সোমবার রাত ১০টার নাগাদ রংপুরে দায়ের করা এক মানহানির মামলায় রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি’র সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে মইনুল হোসেনকে আদালতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) । পরে শুনানি হয়।

জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুনানিতে মইনুল হোসেনের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যরা বলেন, যে অভিযোগে মামলাটি হয়েছে, সেটি জামিনযোগ্য। আইন ও উচ্চ আদালতের বিধান অনুযায়ী, জামিনযোগ্য ধারার কোনো মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনা হলে, তিনি জামিন পেতে পারেন। তিনি জামিনের হকদার। তারা আদালতে জামিনের জোর আবেদন জানান।

মইনুল হোসেনের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য রাখেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু। শুনানিতে আবদুল্লাহ আবু বলেন, মইনুল হোসেন এক নারী সাংবাদিককে অপমান করেছেন। তাঁকে চরিত্রহীন বলেছেন। এটা গর্হিত অপরাধ। যে ধারায় মামলা হয়েছে, তা জামিনযোগ্য হলেও জামিন দেওয়া না-দেওয়া আদালতের এখতিয়ার।

এদিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার নিয়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর কথা চালাচালি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গ্রেফতারের ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।