সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার কথা মিডিয়াতে এসেছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ইভিএমএর সিদ্ধান্তে অটল। সরকারি দলের উন্নয়নের মূলা দর্শন, অতঃপর ভোট ভিক্ষা, আদায়, ছিনতাই ও রাহাজানির কথা সবাই জানি। বিরোধী দল মাঠে নেই, তাও নির্বাচনের আগে জোট-মহাজোট করে মাঠে থাকার চেষ্টা হবে মনে করা হলেও আসলে সরকারি দলছাড়া কেউই এখন মাঠে নাই। নির্বাচন কি আদৌ হচ্ছে, কি হচ্ছে না? বিরোধীদের বিরুদ্ধে মার মার, কাট কাট অবস্থানে সরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’র বাস্তবায়ন, তাই মেরুদন্ডহীন গণমাধ্যম আজ নিরব। সারাদেশেই তাই বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলন!
সাম্প্রতিক এমন শত শত জাতীয় ইস্যু থাকতেও কোথাকার কোন পাকিস্তানি জয়নব তার সাথে সেই কবেকার তনুর কথাটি উচ্চারণ করাতে অনেকে অবাক হবেন। মগের মুল্লুক! দেশ উচ্ছন্নে যাচ্ছে আর আমি টানছি তনুর নাম! পাকিস্তানের জয়নব আর বাংলাদেশের তনুর কথায় পরে আসি। আগে মইনুল হোসেনের নাম নেয়ার কারণ কিঞ্চিত ব্যাখ্যা করি। মইনুল হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা। রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ন একটি নাম। কিছুদিন আগে বেসরকারি এক ‘সরকারি!’ টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে কথা হচ্ছিলো মাসুদা ভাট্টি ও মইনুল হোসেনের। মাসুদা ভাট্টি সরকারি দলের একজন বেসরকারি সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। প্রগতিশীল এবং নারীবাদী হিসেবেও তার সুনাম আছে। শুরু থেকেই তিনি মইনুল ইসলামকে জামায়াতী প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন। জামাত মানেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনা। আর সরকার দলকে আয়ত্ত্বে রাখতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভেজানো চিরতার জল’ দেশবাসীর সামনে পরিবেশনের সিলসিলা নতুন কিছুনা। মইনুল হোসেন যেহেতু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সেহেতু তাকে যে কোন মূল্যে ছোট করা এই সকল সাংবাদিকের জন্য ‘ফরযে আইন’। মাসুদা ভাট্টি সেই কাজটাই করছিলেন। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সেটা মেনে নিতে পারেননি। তিনি কিছুটা ক্ষুদ্ধ হন। এবং ভাট্টির পেশাদারী অনাচারের বিরুদ্ধচারণ করেন। এখানেই মূল সমস্যা। তার পেশাদারী চরিত্র নিয়ে কথা বলা হলেও ভাট্টি এবং ভাট্টিবাহিনী তার নিজের ব্যক্তি চরিত্রে আঘাত আনার অভিযোগ আনে মইনুলের বিরুদ্ধে। সব গণ্ডগোল সেখানেই। এমন শিক্ষিত একজন বুঝবেন না কোনটা ব্যক্তি চরিত্র এবং কোনটা পেশাদারী বা রাজনৈতিক চরিত্র? না তারা বুঝবেন না কারণ তার তখন তার তোষামোদিতে ব্যস্ত।
একদিনেই সামান্য ‘চরিত্রহীনা’ বলাই এই প্রগতিশীল নারীবাদী গোষ্ঠী যেভাবে উচ্চবাচ্য করলো এত আওয়াজ তুললো! এই আওয়াজের সিকিভাগও এ নারীদের কাছ থেকে তনু হত্যা ও ধর্ষণ বিষয়ে শোনা যায় গিয়েছিল? তখন এই নারীবাদ কোথায় ছিলো? কোথায় ছিলো নারীদের বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রতি এই আক্রোশ?
উল্লেখ্য ঘটনার পরপরই সরকারি নারীবাদীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। যেনো মইনুল হোসেন কোন মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধ করে ফেলেছে। আর এখানেই আমি তনু প্রসঙ্গ টানতে চাই। একদিনেই সামান্য ‘চরিত্রহীনা’ বলাই এই প্রগতিশীল নারীবাদী গোষ্ঠী যেভাবে উচ্চবাচ্য করলো এত আওয়াজ তুললো! এই আওয়াজের সিকিভাগও এ নারীদের কাছ থেকে তনু হত্যা ও ধর্ষণ বিষয়ে শোনা যায় গিয়েছিল? তখন এই নারীবাদ কোথায় ছিলো? কোথায় ছিলো নারীদের বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রতি এই আক্রোশ? আজ সরকার, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম সব স্থান থেকেই নিজেদের সমর্থন টানছেন। তনু হত্যা, পরবর্তীতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া, তদন্ত-বিচার এসবের দাবি তোলার সময় কোথায় ছিলো তারা? মানছি ঘটনার পর কিছুদিন আন্দোলন হয়েছে কিন্তু দু’বছর পার হওয়ার পরেও কেনো বিচার হয়নি এই প্রশ্ন টা তারা কেনো একবারের জন্যেও করেন না? উত্তর একটাই ‘তনু’ প্রভাবশালী সরকারি মহলের কেউ ছিলো না তাই তার নাম আজ অনুচ্চারিত। গাজীপুরে ৭ বছরের মেয়ের ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বাবা মেয়ে যখন আত্মহত্যা করে তখনও এই সব নারীবাদীরা চুপ থাকেন কোন কথা তারা বলেন না। এদের কাজই শুধু সরকারের তোষামদ করার জন্য নিজের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে হলেও বিরোধী শক্তিকে রোধ করা। এই নারীবাদীদের জন্যই আজ তনু হত্যার বিচার হয় না, কোন অপরাধ না করেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয় মইনুল হোসেনের মত মানুষদের। হতে হয় গ্রেফতার। তাদের নারী ক্ষমতা, নারী মর্যাদা এই সকল কথা শুধু রাজনৈতিক ভণ্ডামী। যদি সত্যিকারের নারী সম্মান এই মাসুদা ভাট্টিরা বুঝতো তাহলে প্রতি টকশোতেই তনু হত্যার বিচার এবং সকল ধর্ষণের সুস্থ বিচার চেয়ে তারা কথা শুরু করত। এদিক থেকে নারীবাদীরা মইনুল হোসেনের পেছনে যতই লাগুক না কেন, হালে পানি পাবে না। আর পাকিস্তান ঠিকই জয়নব হত্যার বিচার এক বছরের শেষ করে, রায় কার্যকর করে এবং দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে।
২.
পাকিস্তানে জয়নবের হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর হতে দেখেছি আমরা কয়েকদিন আগেই। জয়নব ৬ বছরের একটি শিশু যার বয়স আজ অবধি ৭ বছর দুই মাস হত। জয়নব ছিলো লাহোরের একটি ছোট্ট মফস্বলের শিশু। আর দশটা বাচ্চার মত তারও ছিলো নানান বায়না, শখ ,আহ্লাদ মান-অভিমান; যার সবই নিভে যায় ৪ ঠা জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে। ঐদিনই নিঁখোজ হয় জয়নব আনসারি। ৫ দিন পর তার লাশ পাওয়া যায় বাড়ির পাশের ভাগাড়ে। জয়নবের লাশ পাওয়া এবং তার ধর্ষণ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, এরপরই আন্দোলনে গর্জে ওঠে গোটা পাকিস্তান। বিশ্বের চোখ ছিলো জয়নবের ইস্যুতে। যদিও এমন নির্মম হত্যার শিকার ৬ বছরের জয়নব একা না। আরো ৬ জন শিশুর ঠিক একইভাবে নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া যায়। পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ এর জোড় বিচার দাবি জানায়। আন্দোলনে ফুসে ওঠা পাকিস্তানিদের পরিশ্রম বিফলে যায় নাই। তাদের কাঙ্ক্ষিত বিচার তারা পেয়েছে।জয়নবের বাবার চোখের সামনেই ফাঁসি হয়েছে আসামী ইমরান আলীর। পাকিস্তানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রাস্তায় জনয়ব হত্যার বিচারের দাবিতে সচল ছিলো জনগণ। আর এই আন্দোলনেরই এক অভূতপূর্ব সমাপ্তি ইমরানের ফাঁসির মাধ্যমে শেষ হয়েছে। পাকিস্তানের বিচার বিভাগ গর্ব করার মত একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে যা পাকিস্তানের মতো হিংস্র জাতীয়তাবাদী দেশে খুব কমই দেখা যায়। জয়নব হত্যার এই বিচার আরো হাজারো জয়নবের জীবন রক্ষা করবে। এই ফাঁসি ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিচারের স্বাধীনতার একটি রূপক হয়ে থাকবে।
৩.
পাকিস্তানের কথা তো বললাম। তাদের বিচার ব্যাবস্থার এই প্রশংসার জন্য হয়তো অনেক চেতনাধারী ইতোমধ্যে আমার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেলেছেন। তবে এইবার আমাদের বাংলাদেশের কথায় আসি। তনু, একটি নাম। তনু কি আসলেই একটি নাম? না। তনু, এই বাংলায় বিচারহীনতার একটি ব্র্যান্ড। এই পুঁজির জগাখিচুড়িওয়ালা একটি রাষ্ট্রে তনুর ‘ব্র্যান্ড’ ছাড়া আর অন্য কোন পরিচয় আছে বলে আমি মনে করি না। এক্ষেত্রে তনুর একটি সংজ্ঞাও দাঁড় করানো যেতে পারে, যেমন ‘তনু কে বা কারা?’ উত্তর: “বিচারহীন একটি রাষ্ট্রে বিশেষত বাংলাদেশে যে সকল নারী ধর্ষিত হন তাদেরকেই তনু বলে”। বাহ, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন হিসেবে অনায়াসে প্রশ্নটাকে দাঁড় করানো যায়। শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তনু ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে আগে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা যাক। নাহলে অনেকেই ক্ষেপে লাল হবে। বলবে, “না জেনে না শুনে আসছে পাকিস্তানের সাথে আমাদের তুলনা করতে। বিন্দুমাত্র চেতনা নাই মুক্তিযুদ্ধের!!!” কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ছিল তনু। ১৯ বছর বয়সী (২০১৬)। তনুর বাবা চাকুরি করেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে। গত ২০ মার্চ ২০১৬, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে পাওয়া যায় তনুর নিথর মরদেহ। তনুর বাবা কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন অজ্ঞাত আসামীর বিপক্ষে। থানা পুলিশ মামলাটিকে গোয়েন্দা বিভাগে পাঠালে ময়নাতদন্ত শুরু হয়। প্রথম ময়না তদন্তে কোন আলামত পাওয়া যায় নাই! হ্যাঁ, প্রথম ময়নাতদন্ত! দুইবার হয়েছে কাটা ছেড়া। প্রথম ময়না তদন্তে আলামত না মেলায় রাস্তায় নামে তনুর কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা। রাস্তায় নেমে যা অর্জন হয়, তা হল দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত। আর তাতেই আলামত মেলে গণধর্ষণের। এখন আবার একটু পাকিস্তানের কথায় আসি। জয়নবের লাশেও ধর্ষণের আলামত মিলেছিলো। সেই আলামত নিয়েও নানান তালবাহানা হয়েছিলো প্রচুর। তবে জনগণ সোচ্চার ছিলো। তার পরেই ধরা পড়ে ইমরান নামের ওই নরপিশাচ। কিন্তু বাংলার পিশাচগুলোকে ধরা যাচ্ছে না কেনো? কোহেকাফের কোন সে রাজা তাদের লুকিয়ে রেখেছে? অনেক প্রশ্ন আসে। বিচারের দাবিও আসে। কিন্তু খাতা শূন্য। তদন্ত চলছে অনন্তকাল ধরে। আশা রাখি এই তদন্ত রিপোর্ট হাসরের ময়দানে সরাসরি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছবে।
সরকারি নারীবাদ নারী-পুরুষ কারো জন্যই দেশকে নিরাপদ করতে দিবে না। দিবে না জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে সফল করতে। সরকারি নারীবাদকে বারবার দেখা যাবে তনুদের খুনিকে পাশ কাটিয়ে মইনুল হোসেনের বিচার করতে যার পর নাই উঠে পড়ে লেগেছে। তাই এইসব রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রামের কোন বিকল্প নাই।
৪.
পাকিস্তান যেখানে দেড় বছরের মাথায় এমন একটি নৃশংসতার বিচার সম্পন্ন করল এবং সে রায়ও কার্যকর করল। সেখানে আমরা কেন পারলাম না? এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। তার আগে একটু বলি। জয়নবের লাশ যখন ভাগাড়ে পাওয়া যায় তখন পুরো পাকিস্তান রাস্তায় নেমেছিলো। জয়নবের ধর্ষণ এবং হত্যার বিচার ছিলো তাদের প্রাণের দাবি। তনু হত্যা এবং পরবর্তীতে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার পর এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারটাকে আমরা প্রানের দাবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। আমরা তনুকেও আর একটি ধর্ষিতারূপে দেখেছি। তনুর জন্য হয়ত কিছুদিন আমরা রাস্তায় ছিলাম, আন্দোলন করেছি। প্রতিবাদ জানিয়েছি। কিন্তু শেষমেশ এর বিচার আদায়ের চুড়ান্ত চাপটা আমরা আধিপত্যবাদীদের উপর দিতে পারি নাই। আর অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, জয়নব ৬ বছরের শিশু আর তনু ১৯ বছরের তরুণী দুটো ইস্যুতো আর এক না। আমি মানছি এক না। কিন্তু ধর্ষণ, হত্যা এগুলোতো একই ছিলো নাকি। তনুকে আমরা শুধুই একজন ‘ভিক্টিম’ হিসেবে দেখেছি। তার ধর্ষণ এবং হত্যার এই চূড়ান্ত সহিংসতাকেও আমরা আর দশটা ঘটনা হিসেবেই মেনে নিয়েছি। জাতি হিসেবেই আমরা কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক সেটা সবাই জানে। তনু আমাদের মা-বোন, স্ত্রী-কন্যা কেউই ছিল না। তাই হয়তো এর বিচার চেয়েও আমরা পিছু হেটেছি। আর এরই সুযোগ নিয়েছে প্রভাবশালীরা। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন তনুর ধর্ষণকারীরা ঠিক এই সময়েই অন্য কোন মেয়ের দিকে লালসার দৃষ্টিতে দেখছে ঠিক যেই সময় আমি এই লেখাটা লিখছি বা আপনি পড়ছেন। তারা কিন্তু আগের চেয়েও হিংস্র আগের চেয়েও শক্তিশালী। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিকৃতমনা ওই পশুদের করছে শক্তিশালী আর আমাদের করছে দুর্বল। “অপরাধীর সাজা প্রাপ্য সে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন”-এই চেতনাই নষ্ট করে দেয়া হয়েছে আমাদের ভেতর থেকে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর জয়নব ইস্যুর উপর করা অনেক রিপোর্ট পড়েছি আমি এবং সেখানে একটা ব্যাপারই আমার নজরে এসেছে, সেখানকার সাধারণ মানুষ জয়নবকে নিজের কন্যা বা বোন হিসেবে এর বিচার চেয়েছে, তনুর ক্ষেত্রে সেটা আমরা পারিনি। আমাদের মা-বোন, স্ত্রী-কন্যা এই সকল হিংস্রতার শিকার না হওয়া পর্যন্ত বোধহয় আমরা সেটা পারিও না। এই জন্যই “যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের এই যন্ত্রণা” গানটা বাঙালির কাছেই বেশি জনপ্রিয়। আর সরকার? তারাতো জনগণের মজা দেখে, রাজনীতি করে আর বছর শেষে নির্বাচনের আগে উন্নয়নের মগজধোলাই করে।
তনু হত্যা-ধর্ষণের বিচার এখন একটি চেতনার দাবি। বিচার চাই। বাংলাদেশ একটি বিচারহীন রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে না।
সরকারি নারীবাদ নারী-পুরুষ কারো জন্যই দেশকে নিরাপদ করতে দিবে না। দিবে না জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে সফল করতে। সরকারি নারীবাদকে বারবার দেখা যাবে তনুদের খুনিকে পাশ কাটিয়ে মইনুল হোসেনের বিচার করতে যার পর নাই উঠে পড়ে লেগেছে। তাই এইসব রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রামের কোন বিকল্প নাই।