ফিলিস্তিনে ফের সংঘর্ষের ইঙ্গিত, প্রস্তুত প্রতিরোধ যোদ্ধারা

ফিলিস্তিনে ফের সংঘর্ষের ইঙ্গিত, প্রস্তুত প্রতিরোধ যোদ্ধারা

গত কয়েকদিন ধরে পুনরায় জলপাই গাছ কেটে ফেলা এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর হুমকির প্রেক্ষিতে ফের উত্তেজনা বাড়ছে ফিলিস্তিনে। আর সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির প্রতিরোধ সংগঠনগুলো।

গতকাল বুধবার রাতে এক যোথ বিবৃতিতে তারা জানায়, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো গাজায় ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিরোধকামীরা সব সময় ফিলিস্তিনি জাতিকে রক্ষায় সোচ্চার রয়েছে এবং তাদের অস্ত্র শত্রুদের দিকে তাক করা আছে। নিজ ভিটেমাটিতে ফেরার দাবিতে চলমান গণআন্দোলনের প্রতি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সমর্থন অব্যাহত থাকবে

অন্যদিকে নিজ ভিটেমাটিতে ফেরার আন্দোলন বন্ধ না হলে গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালানো হবে বলে ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিয়েছিল। সেই হুমকির প্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী প্রতিষ্ঠানগুলো।

উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ থেকে নিজেদের পিতৃভূমিতে ফেরার দাবিতে গণবিক্ষোভ শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। তখন থেকে প্রতি শুক্রবার গাজার অধিবাসীরা বিক্ষোভ করে আসছে। এখনো পর্যন্ত এই বিক্ষোভে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে ‘ফারমার টেরোরিজম’র এ সিল এটে একেরপর এক ফিলিস্তিনিদের জলপাই গাছ নষ্ট করে ফেলছে ইসরায়েলিরা যার ফলে ক্রমাগত অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে কৃষক পরিবারগুলো। গতকালও তাল অঞ্চলের প্রায় ১০০টি ফলজ জলপাই গাছ কেটে ফেলে তারা। এই সপ্তাহে মোট ১৫০টি গাছ ধ্বংস করেছে দখলদারিরা। কোথাও কোথাও জলপাই চুরির ঘটনাও ঘটছে।

১৯৬৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি দখলদারিরা ফিলিস্তিনিদের প্রায় ৮ লাখ জলপাই গাছ নষ্ট করে ফেলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই হার বেড়ে যাওয়ায় ফিলিস্তিনিদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। যার ফলে গাছ নষ্ট করাকেও ইসরায়েল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।