প্রয়াত সাহিত‍্যিক পৌলোমী সেনগুপ্ত

প্রয়াত সাহিত‍্যিক পৌলোমী সেনগুপ্ত

মাত্র ৪৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন স্বনামধন্য ভারতীয় সাহিত্যিক পৌলোমী সেনগুপ্ত। তিনি একাধারে কবি, সাংবাদিক, সম্পাদক, অনুবাদক এবং সর্বোপরি লেখক। ফরাসি ভাষায় অসাধারণ দক্ষতা ছিল তার, অনুবাদ করেছেন অ্যাস্টারিক্স। ঝুম্পা লাহিড়ী রচিত ‘দ‍্য নেমসেক’ এবং ‘দ‍্য লো ল‍্যান্ড’ যথাক্রমে ‘সমনামী’ এবং ‘নাবাল জমি’ নামে বাংলায় ভাষান্তর করেন তিনি। অনুবাদ করেছেন ইংরেজি এবং হিন্দি থেকে বহু গল্প, কবিতা।

পৌলোমী সেনগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেন বিহারের জামালপুরে। অল্প বয়সে স্থায়ীভাবে চলে আসেন মাতুলালয় মালদহে, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয় সেখানেই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন আলিপুর মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুল থেকে। ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে স্নাতক হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে, স্নাতকোত্তর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রাবস্থা থেকে তার কবিতা ‘দেশ’, ‘কৃত্তিবাস’ ইত‍্যাদি নামী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিও করেন তিনি। পরে সৃজনশীলতার নেশায় চলে আসেন সাহিত‍্যজগতে।

১৯৯৪ সালে ‘দ‍্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার সাব-এডিটর হিসাবে কর্মজগতে প্রবেশ করেন। মাঝে কয়েক বছর সরকারি চাকরি করার পর যুক্ত হন ছোটদের ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকায়। এবিপি সংস্থার সব পত্রিকার এগজিকিউটিভ এডিটর পদে নিযুক্ত ছিলেন ২০১৭ সাল থেকে। তার প্রথম কবিতার বই ‘পেনসিল খুকি’ (১৯৯৭) ‘কৃত্তিবাস পুরস্কার’ অর্জন করে। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘আমরা আজ রুমাল চোর’ (২০০০), ‘উল্কি’ (২০০৪), ‘মেট্রোয় বৃষ্টি’ (২০১২) ইত্যাদি।

বিগত কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। রেখে গেলেন মা এবং মেয়ে প্রত‍্যাশাকে। মহাষ্টমীর দিনে তাঁর অকালপ্রয়াণে শোকাহত বাংলা সাহিত্যজগত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময়েই ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর মহাষ্টমীর রাতে প্রয়াত হয়েছিলেন প্রখ্যাত সাহিত‍্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।