অবশেষে মিথ্যা সাক্ষীর মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বর্তমান উয়েফা ও ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার লুকা মদ্রিচ।
সদ্য রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা এবং এ বছরের উয়েফা ও ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেও তার কাঁধে ছিলো মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানের মামলা। চলতি বছরের মার্চ মাসে মদ্রিচের সাবেক ক্লাব ডায়নামো জাগ্রেবর এর সাবেক সিইও ও ক্রোয়েশিয়া ফুটবলের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি দ্রাভকো মামিচের বিরুদ্ধে একটি কর সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য দেন লুকা মদ্রিচ। সেই সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতেই দ্রাভকো মামিচের সাড়ে ছয় বছরের জেল হয় এবং একই সাথে ডায়নামো জাগ্রেবর ক্লাবের আরও তিন কর্মকর্তা জেল দেয় ক্রোয়েশিয়ার বিজ্ঞ আদালত। এই মামলার সুরাহা হলেও তা প্রবাহিত হতে শুরু করে ভিন্ন খাতে। ক্রোয়েশিয়া স্টেট অ্যাটর্নি-তে মদ্রিচের মিথ্যা সাক্ষীর মামলা ওঠে।মূলত সাবেক ক্লাবের সিইও এর সাথে লুকা মদ্রিচের দ্বন্দ্বটা ছিলো অন্য জায়গায়।লুকা মদ্রিচ যখন ডায়নামো জাগ্রেবর খেলোয়াড় ছিলেন তখন সেই ক্লাবের সিইও দ্রাভকো মামিচ প্রায় সব খেলোয়াড়দের সাথে এক ধরণের চুক্তিতে যেতেন। সেই একই চুক্তি মদ্রিচের সাথেও হয়ে ছিলো। চুক্তিতে উল্লেখ করা ছিলো-
“ডায়নামো তে থাকা কলীন অবস্থায় মামিচ প্রতিটি খেলোয়াড়কে নিজে থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে তবে ক্যারিয়ারের কোনো পর্যায় যদি সে প্লেয়ার দল পরিবর্তন করে তাহলে তার ট্রান্সফার ফির একটা নির্দিষ্ট অংশ মামিচকে প্রদান করতে হবে।”
সেই চুক্তির বেড়াজালে আটকে যায় লুকা মদ্রিচও। ২০০৮ সালে লুকা মদ্রিচ ১০.৫ মিলিয়ন ইউরোতে ডায়নামো থেকে টটেনহ্যামে যোগ দিলেও সেই ট্রান্সফার ফির সিংহভাগ প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন ইউরো মামিচ নিয়ে নেয়।
সে সময় থেকেই সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না মদ্রিচ ও মামিচের। আর সেই আগুনে ঘি ডালে মামিচের কর ফাঁকির মামলায় মদ্রিচ সাক্ষী হয়ে।
মামিচের ধারণা, মদ্রিচের সাক্ষীর জন্যই তার ছয় বছরের জেল হয়েছে তাই সে ও চলতি বছরের মার্চে মিথ্যা সাক্ষী প্রদানের মামলা করেন মদ্রিচের বিরুদ্ধে। তবে, মামলায় মদ্রিচের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমান ও সাক্ষী দিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত চলতি অক্টোবর মাসে মদ্রিচের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা সাক্ষী প্রদানের মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন।