কলা পটাশিয়াম, ভিটামিন ও আঁশ সমৃদ্ধ একটি ফল। কাঁচা ও পাকা দুই রকমের কলাতেই প্রচুর পুষ্টি। তবে শীতকালে অনেকেই আমরা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকি। আমাদের অনেকের ধারণা, কলা খেলে সর্দির প্রকোপ দেখা দেয়। ধারণাটি ভুল। বরাবরই কলা একটি শক্তিবর্ধক খাবার হিসেবেই পরিচিত।
এছাড়াও কলার রয়েছে অসংখ্য গুনাবলি। এনিমিয়া রোগীদের জন্য শীতকালে কলা খুবই উপকারি একটি ফল। আমরা জানি, এনিমিয়ার জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দেয়। এতে করে শীতকালে এনিমিয়া রোগীরা নানা জটিলতায় মুখোমুখি হয়। এ সময় প্রতিদিন দু’টি কলা খেলে এই সমস্যা সহজেই দূর হয়।
কিন্তু এর আরো অনেক গুন আছে। এনিমিয়া রোগীদের জন্য শীতকালে কলা খুবই উপযোগী একটি ফল। আমরা জানি এনিমিয়ার জন্য রক্তে হিমোগ্লোবিন এর অভাব দেখা দেয়। এজন্যে শীত কালে এনিমিয়া রোগীদের নানা জোটীলতার মুখোমুখি হতে হয়। তবে শীতকালে প্রতিদিন দুটি কলা আহারে এই সমস্যা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব।
এছাড়াও কলা ত্বকের জন্যও খুবই উপকারি। কলায় প্রচুর পরিমানে ম্যাংগ্যানেজ, লৌহ ও ভিটামিন বি-৬ এর উপস্থিত থাকে; যা শীতে ত্বকের সজীবতা রক্ষায় কার্যকর। বিশেষ করে শীতে কলা ত্বকের রূক্ষতা দূর করে।
শীতে আরো কিছু সমস্যা সমাধানে কলার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। সাধারণত শীতকালে আমরা কম পানি পান করে থাকি। তবে এই সময়ে শরীরে পানির চাহিদা সাধারণত বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের স্বাভাবিক বিপাক ক্রিয়া বা মেটাবলিজমে ব্যাঘাত ঘটে। আর এই মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া সুস্থভাবে সম্পন্ন না হলে অবাঞ্ছিত মেদ বাড়া, কৌষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যায় পড়তে হয়। প্রতিদিন কলা খেলে এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। এই ঋতুতে ধুলাবালির প্রকোপও বেড়ে যায় বহুগুনে যার ফলে শ্বাসের ও সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত কলা খেলে এই সমস্যা থেকেও নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়। আর কলা ধূমপায়ীদের জন্যও খুবই উপকারি।
তাই এই আসছে শীতে আপনার খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত কলাকে প্রাধান্য দিন।