ভারত বিশাল দেশ, ১৩০ কোটি মানুষের বসবাস; সেই দেশের অতন্দ্রপ্রহরায় নিয়োজিত আছেন বিশাল সীমান্ত সেনা! বিরোধী কন্ঠস্বরের টুটি চেপে ধরা, নারী এমনকী বালিকা খুন-ধর্ষণ, সংখ্যালঘু তথা দলিত মানুষদের হত্যা ইত্যাদি অমানবিক কর্মকান্ডে সেই দেশ সমগ্র বিশ্বের নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছে! সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন নিয়ন্ত্রণ করছে সেই দেশের শাসনব্যবস্থা। দেশটি ভারত; “নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান” গরিমা ছিল সেই দেশের। বর্তমানে জ্বালানি গ্যাস, পেট্রল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য পরিষেবা বিষয়েও সেই দেশের অধিবাসীগণের অগণিত অভিযোগ। আরও একটি পরিষেবায় খামতি বিপাকে ফেলেছে ক্ষমতাসীন সরকারকে। একটি রিপোর্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে, আকাশপথে যাত্রী সুরক্ষায় বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ভারতের থেকে। আকারে, আয়তনে ভারতের চেয়ে অনেক ছোট বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক আইকা (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) আকাশপথে পরিবহণে যাত্রী সুরক্ষা বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল ২০১৭ সালে, সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে তার অডিট রিপোর্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর জেট এয়ারওয়েজ সংস্থার মুম্বই থেকে জয়পুরগামী ৯ডব্লিউ ৭৬৭ বিমানের ভিতরে কেবিনে উপযুক্ত দেখভাল না-করার ফলে বায়ুচাপ অস্বাভাবিক ছিল, ফলে নাকে রক্তপাত, মাথাব্যথা, দমবন্ধ-ভাব শুরু হয় অধিকাংশ যাত্রীদের। আবার গত ১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস সংস্থার বোয়িং ৭৩৭ এয়ারক্রাফট বিমানটি ওড়ার সময় ধাক্কা মারে তিরুচিরাপল্লি বিমানবন্দরের পাঁচিলে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ১৩৬ জন যাত্রী, ক্ষতি হয় বিমানের। প্রসঙ্গটা পুনর্বার আলোচনার আলোকে এসেছে গত শুক্রবার।
আইকা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মূল যে-আটটি মাপকাঠির ভিত্তিতে যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি নিরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে পাঁচটিতে আন্তর্জাতিক গড়ের তুলনায় ভারতের প্রাপ্ত নম্বর কম। প্রতিবেশী বাংলাদেশ সাতটি মাপকাঠিতে আন্তর্জাতিক গড়ের মানে অতিক্রম করেছে ভারতকে। এছাড়াও, ভারত আন্তর্জাতিক গড়ে পিছিয়ে রয়েছে বিমানবন্দরের ডেকোরেশন, আইন প্রণয়ন, লাইলেন্স ব্যবস্থা, সংস্থার পেশাদারিত্ব ইত্যাদি বিষয়েও। আইকা স্পষ্টত জানিয়েছে, যে-কয়েকটি মাপকাঠিতে ভারত পিছিয়ে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তদন্ত। সংশ্লিষ্ট অডিটে খতিয়ে দেখা হয়েছে, কতটা পেশাদারিত্ব নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে দুর্ঘটনার। সঙ্গত কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিজিসিএ। তবে বিশেষজ্ঞগণ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিমান সংস্থার পাশাপাশি কেন্দ্রকেও কাঠগড়ায় তুলছেন যাত্রী সুরক্ষার মান আশানুরূপ না-হওয়ার জন্য। শুক্রবার সকালে বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জানিয়েছেন, ভারতে আকাশপথে পরিবহণে যুক্ত সমস্ত বিমানসংস্থা যাত্রী সুরক্ষার মানোন্নয়নে যথার্থ ভূমিকা পালন করে কি না, সেই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
Chat Conversation End